Bengaluru Incident

ঋণের পাহাড়, ধার মেটাতে সদ্যোজাত সন্তানকে দেড় লাখে বেচে দিলেন মা! গ্রেফতার চার

৩০ দিন বয়সি সন্তানকে অন্য মহিলার কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মা। নিয়েছিলেন দেড় লক্ষ টাকা। বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে এবং শিশুটিকে উদ্ধার করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩২
Share:

বেঙ্গালুরুতে সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আয় সামান্য। সাত জনের সংসার টানতে ঋণের পাহাড় জমে গিয়েছে। ধার মেটাতে তাই সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন মা! স্বামীর নিষেধ সত্ত্বেও সন্তানকে অন্য মহিলার হাতে তুলে দিয়ে আসেন তিনি। সঙ্গে করে নিয়ে আসেন নগদ টাকা। পরে স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

ঘটনাটি কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর রামনগর এলাকার। অভিযুক্ত মহিলা তাঁর ৩০ দিন বয়সি সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। বদলে পেয়েছিলেন দেড় লক্ষ টাকা। স্বামীর ধার মেটাতে ওই টাকা প্রয়োজন ছিল তাঁর। কিন্তু মহিলার স্বামী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর অর্থের প্রয়োজন হলেও সন্তান বিক্রির কথা কখনও কল্পনা করেননি। স্ত্রী সেই প্রস্তাব দিলেও তা তিনি নাকচ করে দিয়েছিলেন। পরে সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।

গত ৭ ডিসেম্বর যুবকের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সদ্যোজাত শিশুর খোঁজ শুরু হয়। অভিযুক্ত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, বেঙ্গালুরুর এক মহিলার কাছে তিনি সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হোমে পাঠিয়েছে। মহিলাকে গ্রেফতারের পাশাপাশি এই কাজে তাঁকে যাঁরা সাহায্য করেছিলেন, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। যিনি শিশুটিকে কিনেছিলেন, তাঁকেও ধরেছে পুলিশ।

Advertisement

শিশুর বাবা এবং মা দু’জনেই পেশায় দিনমজুর। তাঁদের মোট পাঁচ সন্তান। বড় সংসার টানতে তাই খরচও হত বেশি। বাজারে তাঁদের প্রায় তিন লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে, পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযোগকারী যুবক। তাঁর বক্তব্য, স্ত্রী তাঁকে টাকার জন্য সন্তান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি রাজি হননি। পরে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, সন্তান বাড়িতে নেই। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে তিনি জানান, অসুস্থ হওয়ায় সদ্যোজাতকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছেন। পরের দিনও সন্তান বাড়িতে না আসায় সন্দেহ হয় বাবার। তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সন্তানের নিখোঁজ হওয়ার নেপথ্যে তাঁর স্ত্রীর হাত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ধৃত চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। শিশু বিক্রি এবং শিশু পাচারের কোনও চক্র এর নেপথ্যে সক্রিয় কি না, তারও খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement