প্রতীকী ছবি।
নিজের কুকীর্তি ঢাকতে নিজের শিশুকন্যাকে খুন করেছে মা। কিংবা তার বাড়ির লোকজন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রসূতি মায়ের বাবা এবং মাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
ত্রিপুরার উত্তর জেলার ইরানি থানার অধীন খাওরাবিল গ্রামের ঘটনা। একটি ছড়ার জলে সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। খবরটি শুনেই প্রসূতি মায়ের বাবা ও মা সাথে সাথে ছুটে যান এবং সদ্যোজাত শিশুর দেহ তুলে নিয়ে আসেন বাড়িতে। গোবরের স্তূপে তা চাপা দিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি এলাকার লোকজন বুঝতে পারে চাপ দিতে থাকেন ওই পরিবারের সদস্যদের। পরে শিশুকন্যার দেহটি গোবরের স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। থানায় খবর দেন স্থানীয়েরা। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ও ওই পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
দু’বছর আগে আসামের মাকুন্দায় এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই বাড়ির মেয়ের। পারিবারিক বিবাদের জেরে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাপের বড়িতে চলে আসে ওই তরুণী। এখানে এক ‘প্রতিবেশী কাকা’র সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। দিনে দিনে ওই মহিলার শারীরিক পরিবর্তন দেখে প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। ওই মহিলা জানান, স্বামীর বাড়িতে থাকাকালীন গর্ভবতী হয়েছিলেন তিনি। এ কথা বিশ্বাস না-হওয়ায় প্রতিবেশীরা চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু মহিলা নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন। গত কাল মহিলার একটি কন্যা সন্তান হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: ভূমিপুত্র মুসলিম গণনায় বাদ কেন বরাক, উদ্বেগ
অভিযোগ, পরিবারের লোকজন ওই সদ্যোজাতকে খুন করে এবং দেহ ছড়ার জলে ফেলে দেয়। এলাকার লোকজনের চাপের মুখে ওই মহিলা ও তার পরিবারের লোকজন জানান, যে ‘প্রতিবেশী কাকা’র সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।