ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার সাংসদদের ৮৭ শতাংশই অন্তত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট এই দাবি করেছে। আবার ওই একই রিপোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যসভার সাংসদের এক তৃতীয়াংশই ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত। অপরাধের তালিকায় খুন, খুনের চেষ্টার মতো অভিযোগও রয়েছে। অভিযুক্ত সংসদদের ৫০ শতাংশের বিরুদ্ধেই এমন গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে যে সমস্ত সরকারি তথ্য পাওয়া যায়, সেই সব তথ্য ঘেঁটেই একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে বলে দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ নামে দু’টি অলাভজনক এবং অসরকারি সংস্থা। সেই রিপোর্টেই রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে বহু আকর্ষণীয় তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যেমন জানা গিয়েছে, যেসব সাংসদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আছে তাঁদের অধিকাংশই বিজেপির। যদিও এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
রিপোর্ট বলছে, মোট ৭১ জন সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ৩৭ জন। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে বিজেপির ২০ জন সাংসদ, ১২ জন কংগ্রেস, আরজেডি-র পাঁচ জন, সিপিএমের চার জন, তৃণমূল কংগ্রেস, আপ এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের তিন জন করে সাংসদ এবং এনসিপি-র দু’জন সাংসদ রয়েছে।
তবে কোটিপতিদের মধ্যে কংগ্রেসের শতাংশের হিসেবে কংগ্রেসের পাল্লা ভারি। রাজ্যসভায় বর্তমানে ২২৬ জন সদস্য রয়েছেন এঁদের মধ্যে ১৯৭ জনই অন্তত ১ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। রিপোর্টের তথ্য বলছে, এঁদের মধ্যে ১০ কোটির বেশি সম্পত্তি রয়েছে ৮৬ জনের। ৫-১০ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী ৩৪ জন। ১-৫ কোটি টাকার সম্পত্তি আছে বাকি ৭৭ জনের। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৫০.০৯ কোটি টাকা।
রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৩১। রিপোর্ট বলছে, এঁদের মধ্যে ২৯ জনই কোটিপতি। ডিএমকে-র ১০ জন সাংসদের ন’জন কোটিপতি। ১৩ জন তৃণমূলর সাংসদের মধ্যে ১০ জন সাংসদের কোটি টাকার সম্পত্তি রয়য়েছে। বিজেপির ৮৫ জন সংসদের মধ্যে কোটিপতি ৭৪ জন।