চলছে উদ্ধারকার্য। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে জায়গায় জায়গায় ধস। তাতে একসঙ্গে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে মুম্বই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রায়গড় জেলার কোঙ্কণে। বৃহস্পতিবার সেখানকার বেশ কিছু জায়গায় ধস নামে। তাতে এক জায়গা থেকে ৩২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্য একটি জায়গা থেকে আরও চারটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কমপক্ষে আরও ৩০ জন আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। তাঁদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার নামিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। শেষ খবর পাওয়া অবধি মোট ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। তাতে মুম্বই-সব একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে রায়গড়, রত্নগিরি, কোলাপুর-সহ একাধিক জেলায়। গত ৪০ বছরে জুলাই মাসে এই পরিমাণ বৃষ্টি মহারাষ্ট্রে হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উদ্ধারকার্য চালাতে নৌবাহিনী এবং উপকূল বাহিনীর সাহায্যও নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে। একটানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে একাধিক জায়গায় বাড়িও ভেঙে পড়েছে।
বানভাসি মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকাগুলির ৫০ শতাংশ অংশ ডুবে গিয়েছে। বহু জায়গায় আটকে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের জল ভেঙে বেরনোর ঝুঁকি নিতে নিষেধ করা হয়েছে। বাড়ির ছাদে অথবা উঁচু জায়গায় থাকতে বলা হয়েছে, যেখান থেকে হেলিকপ্টার তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাবে। ভারী বৃষ্টির জেরে মুম্বই-গোয়া জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর ছেলে তথা রাজ্যের মন্ত্রী আদিত্য নিজে একাধিক জায়গায় ছুটে গিয়েছেন। দাঁড়িয়ে থেকে উদ্ধারকার্যে তদারকি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।