নানা প্রজাতির পাখির মৃত্যু। ছবি পিটিআই।
রাজস্থানের সম্ভর হ্রদ এবং সংলগ্ন এলাকায় পাখিদের মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। গত এক সপ্তাহে দেশি এবং পরিযায়ী মিলিয়ে সেখানে মৃত পাখির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এক সঙ্গে এত সংখ্যক পাখির মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এভিয়ান বচুলিজ়ম রোগে আক্রান্ত হয়েই পাখিগুলির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর সন্দেহ বন দফতরের। বিষাক্ত খাবার পেটে গেলে পাখিরা এই রোগে আক্রান্ত হয়।
অনেকের আবার দাবি, নোনাজল অতিরিক্ত দূষিত হওয়াতেই এই মৃত্যুমিছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছুই জানা যায়নি। এই মুহূর্তে সম্ভর হ্রদে ৭০ সদস্যের একটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। অন্য পাখির শরীরে এই রোগ যেন বাসা বাঁধতে না পারে, তার জন্য পাখিদের মৃতদেহ সরাতে শুরু করেছে তারা। পশুপালন বিভাগের একাধিক দলও পৌঁছেছে সেখানে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে তারা।
চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে পাখিদের এই মৃত্যুমিছিল শুরু হয়। প্রথমে সেখান থেকে ৭১৬টি পাখির দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন হ্রদের নোনা জল থেকে উদ্ধার হয় ১৬২২টি দেহ। এর পর বুধ, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার যথাক্রমে ১৯২২, ৫৪০ এবং ৩২৬৫টি পাখির দেহ উদ্ধার হয়। শনিবারও বহু পাখির মৃতদেহ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে নর্দ্যার্ন শোভেলার, রাডি শেলডাক, প্লোভার্স, অ্যাভোচেটজ, ব্ল্যাকউইং-সহ নানা প্রজাতির পাখি রয়েছে। শীতের শুরুতে খাবারের খোঁজে প্রতি বছরই সম্ভর হ্রদে আসে কয়েক লক্ষ পাখি। কিন্তু এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি সেখানে।
সরিয়ে ফেলা হচ্ছে পাখিদের মৃতদেহ। ছবি: এএফপি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা রায়ের পুনর্বিবেচনা চাইতে যাচ্ছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড
আরও পড়ুন: ফের বিপদ হোয়াটসঅ্যাপে, ভিডিয়ো খুললেই তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারের হাতে
এই ঘটনার জন্য রাজ্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, প্রথম দু’দিন বিষয়টি নিয়ে কোনও হেলদোলই দেখায়নি রাজ্য প্রশাসন। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠালেও, তাদের উপস্থিতিতেই শুক্রবার পাখির মৃত্যুসংখ্যা একলাফে অনেকটাই বেড়ে যায়। সরকারি হিসাবে মৃত পাখির যে সংখ্যা দেখানো হচ্ছে, আসলে সংখ্যাটা তার চেয়ে বেশি বলেও দাবি করেছেন অনেকে। সমালোচনার মুখে পড়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত।