ফাইল চিত্র
পরীক্ষার কৃতকার্য হতে না পারায় ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে চার হাজার পড়ুয়া। যাদের সকলেরই বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তরফ থেকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা জমা পড়েছে সংসদের উভয় কক্ষেই। এ ছাড়াও পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২৪ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক আত্মহত্যা করেছে। সেই সংখ্যার মধ্যে রয়েছে পরীক্ষায় ফেল করে আত্মঘাতী হওয়া পড়ুয়ারাও রয়েছে।
ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যে বলা হয়েছে, ২৪ হাজার আত্মঘাতী পড়ুয়ার মধ্যে ১৩ হাজার ৩২৫ বালিকা রয়েছে, যাদের বয়স ১৮ বছরের নীচে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ধীরে ধীরে বাড়ছে আত্মঘাতীদের সংখ্যা। ২০১৭ সালে একটি নির্দিষ্ট বয়সের গণ্ডিতে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক (পরীক্ষায় ফেল করা-সহ অন্য কারণে) আত্মঘাতী হওয়ার সংখ্যা ছিল আট হাজার ২৯। ২০১৮ সালে সেটি বেড়ে হয় আট হাজার ১৬৭। ২০১৯ সালে সেটি আরও বেড়ে হয় আট হাজার ৩৭৭। রাজ্যের বিচারে সবচেয়ে বেশি অপ্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তারপর একে একে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুও।
এই সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষায় সফল হতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে চার হাজার ৪৬ জন পড়ুয়া। এর পাশাপাশি বিবাহ বিষয়ক সমস্যার কারণে আত্মঘাতী হয়েছে ৬৩৯ জন, তার মধ্যে রয়েছে ৪১১ জন বালিকা বা তরুণী। আত্মঘাতী অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তিন হাজার ৩১৫ জন প্রণয়ঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত অসুস্থতার জন্য দেশে আত্মঘাতী হয়েছে দু’হাজার ৫৬৭ জন, যাঁদের বয়স ১৮ বছরের নীচে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েও দেশে আত্মঘাতী হয়েছে ৮১ জন এই বয়সের বালক-বালিকা।
এ ছাড়াও আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে অনেকগুলি কারণের পাশাপাশি প্রিয়জনের মৃত্যু, মাদকাসক্তি ও অতিরিক্ত মদ্যপান, অসময়ে মাতৃত্ব, এ সবের কারণেও অনেকে আত্মঘাতী হয়েছে।