প্রকৃতির খামখেয়ালে ঝামেলায় পড়েছিল একটি বিমান। অন্য একটি বিমানে দেখা দিয়েছিল যান্ত্রিক বিভ্রাট। ভুগলেন দুই শতাধিক যাত্রী।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বেলা ১১টা নাগাদ দিল্লি থেকে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার একটি বিমান ১২৩ জন যাত্রী নিয়ে রওনা হয়। রাঁচী হয়ে বিমানটির কলকাতায় আসার কথা। রাঁচীর আবহাওয়া খারাপ থাকায় নামতে না-পেরে কিছু ক্ষণ চক্কর কেটে পাইলট কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতায় ২০ জন যাত্রী নেমে যাওয়ার পরে ১০৩ জন অপেক্ষা করতে থাকেন বিমানে। রাঁচীর আকাশ সাফ হলে ওই বিমানে তাঁদের রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
দিল্লি থেকে ওই সংস্থারই অন্য একটি বিমান বাগডোগরা যাওয়ার পথে যোগাযোগ করে কলকাতার সঙ্গে। বলে, সামনের চাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। সে কলকাতায় নামবে। বিমানটি ১৭৫ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় নামে। মেরামতির জন্য বিমানটিকে বসিয়ে দেওয়া হয়। রাঁচীর যাত্রীরা যে-বিমানে বসে ছিলেন, সেই বিমান থেকে তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বাগডোগরার যাত্রীদের সেই বিমানে তুলে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। সেই বিমান বাগডোগরায় পৌঁছে সেখানে যাত্রীদের নামিয়ে দিল্লির যাত্রীদের নিয়ে রাজধানী উড়ে যায়।
কলকাতায় বসে থাকতে থাকতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রাঁচীর যাত্রীরা। তাঁরা ছাড়াও কলকাতা থেকে রাঁচী ঘুরে দিল্লি যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন শতাধিক যাত্রী। তাঁদেরই এক জন সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের রাঁচী হয়ে দিল্লি যাওয়ার উড়ান ছাড়ার কথা ছিল বেলা ৩টে ২৫ মিনিটে। বারবার সময় বদলের পরে বলা হল, ‘টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে নিন।’ আমরা চেঁচামেচি করায় শেষে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কলকাতা থেকে সরাসরি দিল্লির টিকিট দিয়েছে।’’ তার আগে, রাত সাড়ে ৮টায় রাঁচীতে নামতে না-পারা বিমানের আটক যাত্রীদের অন্য বিমানে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়।