Voter

দেশে আড়াই লাখের বেশি নাগরিকের বয়স ১০০+! জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার

নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, দেশে বর্তমানে আশি বছরের ঊর্ধ্বের ভোটার ১ কোটি ৮৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৪৭ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২২ ০২:৪১
Share:

অশীতিপর ভোটারের সংখ্যা আবার ২ কোটির কাছাকাছি। ফাইল চিত্র।

সদ্যই প্রয়াত হয়েছেন স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার শ্যামশরণ নেগি। চলতি মাসে অশক্ত শরীরে জীবনের শেষ ভোটটা দিয়েই ১০৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে এই বৃদ্ধের। ভোটদানের ঠিক আগে তিনি বলেছিলেন, ‘‘জানি, মৃত্যুর সময় চলে এসেছে। কিন্তু মরার আগে ভোটটা দিয়ে যেতে চাই।’’ শ্যামশরণের মতো আড়াই লক্ষ ভোটার রয়েছে দেশে, যাঁদের বয়স ১০০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে! অশীতিপর ভোটারের সংখ্যা আবার ২ কোটির কাছাকাছি।

Advertisement

দেশে বর্তমানে শতবর্ষ পার হওয়া ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৯৮। বুধবার এই তথ্য পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, দেশে বর্তমানে আশি বছরের ঊর্ধ্বে ভোটার ১ কোটি ৮৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৪৭ জন। সবেমাত্র তালিকায় নাম উঠেছে, অর্থাৎ যাঁদের বয়স ১৮-১৯ বছর, এমন ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৪১। আর ২০-২৯ বছর বয়সি ভোটারের সংখ্যা ২০ কোটি ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৩৬।

তরুণ প্রজন্মকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে বুধবার পুণেতে একটি সাইকেল মিছিলের কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার। যুবসমাজের উদ্দেশে রাজীব জানান, দেশের সব শহরগুলির মধ্যে পুণেতে ভোটদানের হার সবচেয়ে কম। সাইকেল মিছিলের কর্মসূচিতে তাঁর যাওয়ার একমাত্র কারণ, তরুণ প্রজন্মকে ভোট দিতে উৎসাহিত করা।

Advertisement

সেখানে শতবর্ষ অতিক্রান্ত ভোটারদের কথা বলতে গিয়ে শ্যামশরণের নাম করেন রাজীব। গত ২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশের চতুর্দশ বিধানসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছিলেন শ্যামশরণ। সেটিই ছিল তাঁর জীবনের ৩৪তম ভোট। রাজীব বলেন, ‘‘এত বছর ধরে তাঁরা ভোট দিয়ে আসছেন। ভাবলেই ভাল লাগে! মৃত্যুর তিন দিন আগে জীবনের শেষ ভোটটা দিয়েছিলেন শ্যামশরণ।’’

প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতে প্রথম নির্বাচন হয়েছিল ১৯৫২ সালে। কিন্তু হিমাচলের পাহাড়ি এলাকা দুর্গম হয়ে উঠতে পারে, এই আশঙ্কায় সেখানে মাস ছয়েক আগেই ভোট গ্রহণ হয়। সেটা ছিল ১৯৫১ সাল। সেই বছরের ২৩ অক্টোবর সকলের আগে প্রথম ভোটটি দিয়েছিলেন শ্যামশরণ। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর কাহিনি নিয়ে একটি ভিডিয়োও তৈরি হয়। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞাপনেও তাঁর মুখ দেখা গিয়েছে। কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন প্রাক্তন ওই স্কুল শিক্ষক। শ্যামশরণের শেষ ভোটটি সংগ্রহ করতে গিয়ে একটি রেড কার্পেট সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকেরা। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী-অনেকেই। শ্যামশরণের শেষকৃত্যের ব্যবস্থাও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement