ফাইল চিত্র। রয়টার্স।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অস্ত্রশস্ত্র কিনতে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচের সিদ্ধান্ত নিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, আজকের সিদ্ধান্তের অর্থ, এই সব অস্ত্রের প্রয়োজন যে রয়েছে, তা মেনে নেওয়া। কেনার আসল প্রক্রিয়া শুরু হতে ২ থেকে ৫ বছর সময় লেগে যাবে। তবে সীমান্তে রোজ গুলি চলছে। হামলা হচ্ছে সেনার ছাউনিতে। এর মধ্যে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে মনোবল চাঙ্গা করবে বাহিনীর।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে ‘ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সামরিক বাহিনীর জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১৭ হাজার লাইট মেশিনগান কেনা হবে। খরচ হবে প্রায় ১,৮১৯ কোটি টাকা। সীমান্তে মোতায়েন জওয়াদেরই হাতে যাবে এগুলি। কেনা হবে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার অ্যাসল্ট রাইফেলও। খরচ হবে প্রায় ১২,২৮০ কোটি টাকা। সরকারি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের পাশাপাশি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে উৎসাহ দিতে বেসরকারি সংস্থা থেকেও কেনা হবে অস্ত্র। ৯৮২ কোটি টাকা খরচ করে সেনা ও বায়ুসেনাকে দেওয়া হবে ৫,৭১৯টি স্নাইপার রাইফেল। এর বরাত দেওয়া হবে আন্তর্জাতিক স্তরে। পরে দেশেই ওই রাইফেলের গুলি তৈরির ব্যবস্থা হবে।
বাদ যাচ্ছে না নৌসেনাও। যুদ্ধজাহাজগুলির ক্ষমতা বাড়াতে টর্পেডোকে ফাঁদে ফেলার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা গড়েছে ডিআরডিও। ‘মারীচ’ নামের এই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন করবে বেঙ্গালুরুর ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (ভেল)। ৮৫০ কোটি টাকার বরাত পাচ্ছে তারা।