বিমানবন্দরে কোভিড বিধিনিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফাইল চিত্র।
ভারতে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে কোভিড সংক্রমণ। বেশ কয়েকটি রাজ্যে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কিন্তু এই মুহূর্তে নতুন করে কোনও পরিষেবা বন্ধ করতে কিংবা লকডাউনের পথে হাঁটতে নারাজ প্রশাসন। যদিও কোভিড বিধিনিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়িও করা হয়েছে। বিশেষ করে বিমানবন্দরে মাস্ক না পরলে কিংবা সামাজিক দূরত্ব না মানলে সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে ডিজিসিএ (ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন)। এ ছাড়া ১ এপ্রিল থেকে বিমানযাত্রার খরচ আরও বাড়তে চলেছে বলেই জানিয়েছে ডিজিসিএ।
একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু বিমানবন্দরে যাত্রীরা বিধিনিষেধ মানছেন না। তাই সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে আরও কড়াকড়ি করতে হবে। বিমানবন্দরের মধ্যে সবাই মাস্ক দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রেখেছেন কি না, সে দিকে নজর রাখতে হবে। যদি কেউ নিয়ম না মানেন, অর্থাত্ বিমানবন্দরে মাস্ক না পরেন, কিংবা সামাজিক দূরত্ব না মানেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা করা হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষগুলিকে।
ডিজিসিএ-র নির্দেশিকা।
সেই সঙ্গে ডিজিসিএ জানিয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে ‘এয়ার সিকিউরিটি ফি’ বাড়ানো হচ্ছে। তার ফলে বিমানযাত্রার খরচও বাড়বে। ঘরোয়া বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে ৪০ টাকা ও আন্তর্জাতিক পরিষেবার ক্ষেত্রে ১১৪ টাকা ৩৮ পয়সা করে বাড়ানো হয়েছে এই ফি।
বিমান যাত্রীদের সুরক্ষা বন্দোবস্তের জন্যই যাত্রীদের কাছ থেকে এই ‘এয়ার সিকিউরিটি ফি’ নেওয়া হয়। বেশিরভাগ বিমানবন্দরেই সুরক্ষার দায়িত্বে থাকে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ। ছ’মাস অন্তর অন্তর এই ফি পরিবর্তন হয়। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে বেড়েছিল সেই টাকা। কিন্তু সেই সময় বিমান চলাচল কম হওয়ায় বিমান কোম্পানিগুলিকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু এ বার এই খরচ বাড়ায় কোম্পানিদের লাভ হবে বলেই মনে করছে ডিজিসিএ।