—ছবি এএফপি।
লকডাউন এখন অতীত! অর্থনীতির চাকা সচল করতে এখন আরও ‘আনলক’-এর সময় বলে আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিলেন। স্পষ্ট করে দিলেন, ফের লকডাউনের কথা ভাবছে না কেন্দ্র।
করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় ফের লকডাউন জারি হতে পারে বলে জল্পনা দানা বেঁধেছিল। আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ভিডিয়ো কনফারেন্সে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। রাও বলেন, ‘‘আমি সকলকে বলেছি, আপনি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ রকম সিদ্ধান্ত নেবেন না। তা-ও আপনাকে বিষয়টি স্পষ্ট করতে অনুরোধ করেছি।’’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘চার দফার লকডাউন শেষ হয়ে গিয়েছে। আর কোনও লকডাউন হবে না। আমরা এখন প্রথম পর্বের আনলক-এ রয়েছি। এ বার দ্বিতীয় দফার লকডাউন নিয়ে সকলকে আলোচনা করতে হবে।’’ এই ‘লকডাউনের গুজব’-এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে বলেও মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে।
লকডাউনের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার সঙ্গে সঙ্গে যে সংক্রমিতের সংখ্যাও বাড়ছে, তা মনে করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেস্টিং, ট্র্যাকিং, ট্রেসিং, আইসোলেটিং’ জরুরি। মোদী বলেন, আশ্বস্ত হওয়ার মতো খবর হল, সুস্থের সংখ্যা বাড়ছে। খুব কম রোগীকেই আইসিইউ, ভেন্টিলেটরে দিতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ করেন, করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে পুরো পরিকাঠামো কাজে লাগাতে। রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়াতেও অনুরোধ করেন তিনি। সেই সঙ্গে আমজনতাকে তথ্য জানানোর ব্যবস্থাও জোরদার করার কথা বলেন।
আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেননি। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিও হাজির ছিলেন না। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে নিজেদের মতামত জানান। মূলত বড় রাজ্যগুলিকেই দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী যেমন আনলক পর্বে অর্থনীতি খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন, তা নিয়ে সমস্যাও আলোচনায় উঠে এসেছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বৈঠকে জানিয়েছেন, ৩০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বিহারে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কেউই এখন ফিরে যেতে চাইছেন না। আর তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রাও তাঁকে অনুরোধ করেছেন, ইচ্ছুক পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে ফেরানো হোক।