—ফাইল চিত্র
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন পাওয়া গেল আরও পাঁচ জনের শরীরে। ফলে ব্রিটেন থেকে আসা এই এই নতুন প্রকারের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে এখন বেড়ে দাঁড়াল ২৫। নতুন পাঁচ জনের মধ্যে চার জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে। দিল্লির ইনস্টিটিটিউট অব জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজিতে এক জনের জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। প্রত্যেকেই আইসোলেশনে আছেন।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে দিল্লিতে আসা ৩৮ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জন নতুন স্ট্রেনে সংক্রমিত। তিনি জানান, রোগীদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, তা খুঁজে বার করায় জোর দিচ্ছে সরকার। দিল্লির করোনা-পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক। সেখানে সংক্রমণের হার ১৫.২৬ শতাংশ থেকে ০.৮ শতাংশে নেমেছে। প্রায় ৮৫ শতাংশ শয্যা ফাঁকা রয়েছে।
এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার মতে, নভেম্বর বা ডিসেম্বরের গোড়াতেই স্ট্রেনটি ভারতে ঢুকে পড়েছিল, এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সেটি ব্রিটেনে দেখা দিয়েছিল সেপ্টেম্বরে। তবে ভারতে সুস্থতার হার খুব বেশি। ফলে স্ট্রেনটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম হলেও এ দেশে গত চার-ছয় সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ চোখে পড়ার মতো বাড়েনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দেশে সুস্থতার হার ৯৬ শতাংশ পেরিয়েছে বলে আজ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মোট সুস্থের সঙ্গে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার ব্যবধান এখন ৯৬.০২ লক্ষের বেশি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়ে ২১ হাজার পেরিয়েছে। গত কাল থেকে কোভিডে সব চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে (৯০)। তার পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল (দুই রাজ্যেই ২৮ করে)।
আরও পড়ুন: ২০২২-এর মার্চেই কোভিডের আগের অবস্থায় ফিরবে অর্থনীতি: নীতি আয়োগ
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির আড়ালের সেনাপতি শিবপ্রকাশের দায়িত্ব বাড়ল ভোটের মুখে
বর্ষবরণের রাতে নৈশ কার্ফু বলবৎ না-করে সচেতনতার বিষয়টি আমজনতার উপরেই ছেড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু— সর্বত্র ঠিক উল্টো ছবি। আজ রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু জারি হয়েছে দিল্লি-মুম্বইয়ে। দিল্লিতে পাঁচ জন,
মুম্বইয়ে চার জনের বেশি একসঙ্গে জড়ো হওয়া যাবে না। গাড়ি চলাচল বন্ধ না-হলেও প্রকাশ্য জমায়েত বা নতুন বছর উপলক্ষে যাবতীয় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গুজরাতে আমদাবাদ, সুরাত, রাজকোট, বডোদরায় নৈশ কার্ফু। চেন্নাইয়ে মেরিনা বিচ-সহ সমস্ত সমুদ্র-সৈকত বন্ধ। দশ হাজার পুলিশ নামিয়েছে প্রশাসন। বর্ষবরণের উৎসব নিষিদ্ধ করেছে ওড়িশাও। কড়াকড়ির পথে না-হেঁটে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে তেলঙ্গানা সরকার।