রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। ছবি: পিটিআই
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘ঘটনাক্রম বুঝুন’ (ক্রোনলজি সমঝিয়ে)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যসভায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়েছেন। আবার কোনও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে আচমকা লকডাউন ঘোষণা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ডেরেক।
শীতকালীন অধিবেশনে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে অমিত শাহ বিরোধীদের এবং বিশেষ করে তৃণমূল সাংসদদের কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘মিত্রোঁ, আপ ক্রোনলজি সমঝিয়ে। প্রথমে আমরা সিএএ আনব। তারপর এনআরসি হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা দেশেই এনআরসি হবে।’’ অমিত শাহের সেই ‘ক্রোনলজি’ কটাক্ষই শাসক দলকে ফিরিয়ে দিলেন ডেরেক।
এ দিন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক বলেন, ‘‘দেশে ৩০ জানুয়ারি প্রথম কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানানো হয়। এই সময়ের মধ্যে অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই কোভিড মোকাবিলায় কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানকে ৫ মার্চ তৃণমূলের সংসদীয় কমিটি চিঠি লিখে করোনা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকার আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু ৮ মার্চ পর্যন্ত কিছুই করা হয়নি।’’
আরও পড়ুন: ৩০ সেপ্টেম্বর বাবরি মামলার রায়, আডবাণী, যোশীদের হাজিরার নির্দেশ
কোনও পরিকল্পনা বা আলোচনা না করেই লকডাউন ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার এবং তার জন্যই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোখা যায়নি বলে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীরা কেন্দ্রকে লাগাতার আক্রমণ করছে। ডেরেকও সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘২৫ মার্চ। নোটবন্দি-২। নোটবন্দি নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। আর বলতে চাই না। কিন্তু আচমকা ঝটকা। ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হল মাত্র চার ঘণ্টার নোটিসে। সরকার বলছে, ৪৩টি ভিডিয়ো কনফারেন্স করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন, সরকার কি ২৬ মার্চের আগে একটাও ভিডিয়ো কনফারেন্স করেছে।’’
আরও পড়ুন: ছ’মাসে চিন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ হয়নি, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
ভাল হলে কেন্দ্র করছে— খারাপ হলে রাজ্য। কৃতিত্ব নেওয়া ও দায় ঠেলার এই প্রবণতা নিয়েও সরব হয়েছেন ডেরেক। বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারগুলি ১০০ টাকার মধ্যে ৬৩ টাকাই খরচ করছে স্বাস্থ্য খাতে। যখন পরিস্থিতি ভাল হচ্ছে, আপনারা কৃতিত্ব দাবি করছেন। আর যখনই খারাপ হচ্ছে বলছেন মুখ্যমন্ত্রীদের দোষ।’’