দেশবাসীকে দহনজ্বালার হাত থেকে মুক্তি দিতে বর্ষা প্রবেশ করল দেশে। ছবি: পিটিআই ।
দেশবাসীকে দহনজ্বালার হাত থেকে মুক্তি দিতে বর্ষা প্রবেশ করল দেশে। ভারতীয় মৌসম ভবন (আইএমডি)-এর যা পূর্বাভাস ছিল, তার এক দিন আগেই কেরল উপকূলে এসে পৌঁছল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। কেরলে ইতিমধ্যেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই মৌসুমি বায়ু একটু একটু করে উত্তর-পূর্বের দিকে অগ্রসর হবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর আগে আইএমডি জানিয়েছিল, শুক্রবার, অর্থাৎ ৩১ মে কেরল হয়ে বর্ষা প্রবেশ করবে দেশে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই বর্ষা কেরলে প্রবেশ করে গিয়েছে বলে আবহবিদেরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টিপাতে ভিজছে কেরল। অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর এবং অসমের স্বাভাবিক বর্ষা শুরুর কথা ৫ জুন থেকে। জুনের শেষ নাগাদ বর্ষা পৌঁছনোর কথা রাজধানী দিল্লিতে। সব ঠিকঠাক চললে জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। সরকারি হিসাবে, দেশে সাধারণত জুন মাসে প্রবেশ করে বর্ষা। ফিরে যায় সেপ্টেম্বরে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এ বছর দেশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে। উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বের কিছু অংশ ছাড়া সারা দেশে ভাল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
ভারত কৃষিপ্রধান দেশ। তাই চাষবাসের জন্য কৃষকদের কাছে বর্ষা ঋতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ৫২ শতাংশ চাষ নির্ভর করে বর্ষাকালের উপর। সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ জলাধারগুলি পূরণ করার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বর্ষা। তাই সময়ে বর্ষা আসার কারণে খুশি কৃষক থেকে সরকার, সকলেই। পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ গরমে অতিষ্ঠ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে প্রবল গরম। এর মধ্যেই সুখবর। মৌসম ভবন জানাল, বর্ষা ঢুকেছে দেশের মূল ভূখণ্ডে।