ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার দেশের রাজনৈতিক দলগুলির সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের মতে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও করোনা টিকাকরণের প্রশ্নে কী ভাবে সরকার এগোতে চাইছে সে বিষয়ে দিশা দেখাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার কারণে শীতকালীন অধিবেশন না করে সেটি বাজেট অধিবেশনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার যে পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে, তা-ও বিভিন্ন দলের নেতাদের সম্ভবত কালকের বৈঠকে জানাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিকে, কৃষক আন্দোলনের কথা মাথায় রেখে স্পিকার ওম বিড়লাকে লোকসভার অধিবেশন ডাকার অনুরোধ করে আজই চিঠি দিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী।
দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে গত ২৪ নভেম্বর বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বৈঠকের পর একাধিক মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, টিকা কবে দেশবাসীকে দেওয়া হবে, কী ভাবে দেওয়া হবে, সে প্রশ্নে কোনও স্বচ্ছ ধারণাই পাওয়া যায়নি বৈঠকে। তার কয়েক দিন পরেই দেশের একাধিক প্রতিষেধক গবেষণা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। অনুমান করা হচ্ছে, দেশবাসীকে টিকা দেওয়ার প্রশ্নে সরকার কী ভাবছে, সেই দিশানির্দেশ আগামিকাল তুলে ধরতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের একটি সূত্রের খবর, দিল্লিতে এখনও করোনা সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী। তাই এ যাত্রায় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বাতিলের কথা যে সরকার ভেবেছে, তা এখনও অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে জানানো হয়নি। ওই অধিবেশন বাজেট অধিবেশনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা কালকের বৈঠকে দলগুলিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেই কারণে সংসদীয় কার্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার দলনেতাকে বৈঠকে থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি আইন সংশোধনের ইঙ্গিত কেন্দ্রের, কৃষকেরা চান প্রত্যাহার
এ দিকে, কৃষক আন্দোলনের কারণে রীতিমতো অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে স্বল্পকালীন হলেও শীতকালীন অধিবেশন ডাকার অনুরোধ করলেন অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, কৃষকদের দাবি, নতুন কৃষি বিল বাতিল করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত, এ নিয়ে সংসদে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা। কোভিড বিধি মেনে প্রয়োজনে অল্প দিনের জন্য হলেও সংসদের অধিবেশন ডাকার পক্ষে সওয়াল করেছেন অধীর।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় ৯৯ আক্রান্ত মিনিটে, মৃত্যুরও রেকর্ড