ফাইল ছবি
করোনা অতিমারি থেকে শিক্ষা নিয়েছে তাঁর সরকার। তাই আমজনতার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চতুর্মুখী নীতি নিয়ে সরকার এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আজ দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চলতি বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক বরাদ্দ সুষ্ঠু ভাবে রূপায়ণ সম্ভব— তা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশের মানুষকে সুস্থ রাখতে সরকার চারটি নীতি নিয়ে এগোবে। প্রথমত, রোগ প্রতিরোধ করে সুস্থ থাকার উপরে জোর। দ্বিতীয়ত, সকলের জন্য স্বাস্থ্য। তৃতীয়ত, দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গুণগত মান উন্নত করা এবং চুতর্থত, সমস্যার সমাধানে মিশন মোডে কাজের উপরে জোর। মোদীর দাবি, ভারত যে ভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে, তা বিশ্বের সামনে উদাহরণ। আগামী দিনে ভারতের উপরে বিশ্বের নির্ভরতা আরও বাড়বে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য, ‘পোষণ অভিযান’-এর মাধ্যমে দেশবাসীর পুষ্টি, সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। ২০২৫ সালের মধ্যে ‘যক্ষ্মামু্ক্ত ভারত’ গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রের দাবি, চলতি বাজেটে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপুল বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে কেবল টিকাকরণ খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আজ মোদী বলেন, ‘‘করোনা অতিমারির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বিপুল বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’’
যদিও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের মতে, ওই অর্থ বরাদ্দ সংখ্যার কারসাজি ছাড়া কিছু নয়। জল নিকাশি কিংবা পরিস্রুত পানীয় জলের খাতের টাকা স্বাস্থ্য বাজেটে দেখানো হয়েছে। টিকাকরণ খাতে যে টাকা খরচের কথা বলা হয়েছে, তাতে কোনও স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি হবে না। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে যা গড়ার কথা বলা হয়েছে, তার জন্য বরাদ্দ হয়েছে নামমাত্র টাকা। স্বাস্থ্য বাজেটে যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ জোটেনি তা মেনে নিয়ে মোদীর স্বীকারোক্তি, ‘‘বেশ কিছু ক্ষেত্র প্রত্যাশিত বরাদ্দ পায়নি। পরবর্তী সময়ে সেই ক্ষেত্রগুলির উপর জোর দেওয়া হবে।’’