প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: ফাইল
বিয়াল্লিশ বছর পরও জরুরি অবস্থার আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি। আজ, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৩৩ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর মুখে শোনা গেল ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর জরুরি অবস্থা জারির কথা। দিনটিকে ‘কালাদিবস’ হিসাবেও উল্লেখ করেন মোদী। সে দিনের ভয়াবহতা ও আতঙ্কের কথা মনে করিয়ে দেশবাসীর কাছে মোদীর বার্তা, ভারতের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতে এক জোট হয়ে কাজ করুন। জরুরি অবস্থার কথা বলতে গিয়ে নাম না করে কংগ্রেসকে কটাক্ষও করেন মোদী। ওই সময় জেলবন্দি অবস্থায় থাকাকালীন অটল বিহারী বাজপেয়ির লেখা একটি কবিতাও এ দিন পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী।
জরুরি অবস্থা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, দেশবাসীকে ইদ ও রথ যাত্রার শুভেচ্ছাও জানান মোদী। তিনি বলেন, ‘‘জগন্নাথ দেব গরিবের ঈশ্বর। খুব কম লোকই জানেন, ইংরেজিতে একটি শব্দ রয়েছে ‘জগরনট’, যার অর্থ একটি চমৎকার রথ যেটি কোনওদিনও থামবে না।’’
রমজান নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মোদী আরও একবার মনে করিয়ে দেন এ দেশের বৈচিত্রের মাঝে ঐক্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘এই বৈচিত্র ভারতের চরিত্র, শক্তি। সারা দেশজুড়ে রমজানের প্রার্থনা করা হয়।’’
আরও পড়ুন, ‘বিফ খাস! বলেই মার, ভাইটাকে মেরেই ফেলল’
মন কি বাত-এ প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের মুবারকপুর গ্রামের একটি ঘটনার বর্ণনাও দেন। যেখানে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে সরকারি সাহায্য ছাড়াই শৌচাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শৌচাগার তৈরির জন্য ১৭ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। মুবারকপুরের বাসিন্দারা সেই অনুদান ছাড়াই রমজানের পবিত্র সময় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাঁদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বিশ্বজুড়ে যোগ দিবসের সাফল্য নিয়েও কথা বলেন মোদী। শুভেচ্ছা জানান, সিডনিতে ইতিহাস গড়ার কারিগর কিদাম্বি শ্রীকান্তকে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন সুপার সিরিজে জয়ী শাটলার শ্রীকান্ত।