ED

ED: ১৭ বছরে ৫,৪২২ আর্থিক তছরুপের মামলা করেছে ইডি, দোষী সাব্যস্ত মাত্র ২৩! জানাল কেন্দ্র

লোকসভায় তথ্য দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি আর্থিক তছরুপের অভিযোগে মামলা হয়েছে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২ ১৪:৫৯
Share:

ইডির মামলা নিয়ে লোকসভায় তথ্য দিল কেন্দ্র। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

এসএসসি মামলায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বাংলার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ নিয়ে রাজ্য তো বটেই, দেশের রাজনীতিও তোলপাড়। ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়ে ইডি সম্পর্কিত একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্র।

Advertisement

সোমবার লোকসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ১৭ বছরে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মোট ৫,৪২২টি মামলা করেছে ইডি। কিন্তু এতগুলি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মাত্র ২৩ জন।

কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানান, গত ১০ বছরে আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের (পিএমএলএ) আওতায় সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনে মোট ৫,৪২২টি মামলা করেছে ইডি। প্রায় ১,০৪,৭০২ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯২টি মামলায় চার্জশিট দাখিলের ফলে ওই ২৩ জন অভিযুক্তের কাছ থেকে মোট ৮৬৯.৩১ কোটি টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে।’’

Advertisement

লোকসভায় দেওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে পিএমএলএ-এর অধীনে মোট ২২১টি মামলা হয়। ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষে ছিল ২০৯টি মামলা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মামলার সংখ্যা ছিল ৯৮১টি। এবং ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয় ১,১৮০টি। এর সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (এফএমএ) জুড়ে সর্বমোট প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার আর্থিক দুর্নীতির মামলা করে ইডি।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন কার্যকর হয়। ২০০৫ সালে এই আইন কার্যকর হয়। প্রধানত, আন্তর্জাতিক মাদক এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধের জন্য আনা হয় এই আইন। যদিও এই আইন কার্যকরের পর একাধিক সংশোধনী হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement