সংসদ ভবন। —ফাইল চিত্র।
স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সে জন্য আমদাবাদের নির্মাণ সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সংস্থা এইচসিপি ডিজাইন প্ল্যানিংকে বরাত দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনের রূপরেখা কেমন হবে, তা ঠিক করবে ওই সংস্থা।
এইচসিপি ডিজাইন সংস্থার মালিক বিমল পটেল। এর আগে, গাঁধীনগরের সেন্ট্রাল ভিস্তা এবং সবরমতী সৌন্দর্যায়নের দায়িত্বে ছিল ওই সংস্থা।
নয়া সংসদ ভবনের রূপরেখা তৈরির জন্য শুরুতে ৪৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও, ২২৯.৭ কোটি টাকার বিনিময়ে ওই সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। নতুন সংসদ ভবন নির্মাণে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, পরামর্শদাতা সংস্থাকে তার ৩-৫ শতাংশ দেওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সংসদ ভবন নির্মাণের জন্য ঠিক কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা খোলসা করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: গোপাল কান্ডার সমর্থন প্রশ্নে দু’ভাগ বিজেপি, তীব্র ভর্ৎসনা বিরোধীদেরও
তবে নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণ হলেও, পুরনো ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে না বলে জানা গিয়েছে। বরং তার পাশেই গড়ে উঠবে নতুন সংসদ ভবন এবং সচিবালয়। কেন্দ্রের যুক্তি, এই পদক্ষেপের ফলে দিল্লিতে কর্মরত প্রায় ৭০ হাজার কর্মীকে একছাদের নীচে আনা যাবে বলে আশা। এতে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া নেওয়া বাড়ি বাবদ প্রতি মাসে যে ১ হাজার কোটি টাকা গুনতে হয়, তা-ও বেঁচে যাবে।
আরও পড়ুন: বিজেপি-কংগ্রেস কেউ অচ্ছুত নয়, ‘চাবি’ তাঁর হাতেই, জল্পনা জিইয়ে রেখে দাবি দুষ্মন্তের
যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে ২৫০ বছর পরেও এই সংসদ ভবনেই দিব্যি কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন হরদীপ সিংহ পুরী। সেখানে সব রকম আধুনিক পরিষেবা ও প্রযুক্তির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে তিনি। ২০২২ সালের মধ্যে নয়া সংসদ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী তিনি।