নির্বাচনী হাওয়ায় নেহরু-বন্দনায় মোদী

জওহরলাল নেহরুর প্রতিষ্ঠিত যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে গঠন করেছিলেন নীতি আয়োগ। ‘আফ্রিকান সামিট’-এ কূটনীতির মঞ্চে এক বারের জন্য উচ্চারণও করেননি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:০৭
Share:

জওহরলাল নেহরুর প্রতিষ্ঠিত যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে গঠন করেছিলেন নীতি আয়োগ। ‘আফ্রিকান সামিট’-এ কূটনীতির মঞ্চে এক বারের জন্য উচ্চারণও করেননি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম। কিন্তু দেশ জুড়ে নোট-বিতর্কের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ভোটের প্রচারে গিয়ে সেই জওহরলাল নেহরুকেই স্মরণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁকে হাতিয়ার করেই নিশানা করলেন গাঁধী পরিবারকে। একেবারে নেহরুর জন্মদিনেই।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে আজ ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই রাজ্য থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বেশ কয়েকজন। জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু। আর আমি হলাম উত্তরপ্রদেশ থেকে জিতে আসা নবম প্রধানমন্ত্রী।’’ মোদী বলেন, উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চল এলাকার দারিদ্রের মোকাবিলার রাস্তা খুঁজে বের করতে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন জওহরলাল নেহরু। তাঁর কথায়, ‘‘পন্ডিত নেহরুর মৃত্যুর পরে অনেক প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। কিন্তু কমিটির রিপোর্ট সরকারি ফাইলের তলায় চাপা পড়েই রয়েছে। নেহরুর জন্মদিনে আমি সেই ফাইল নতুন করে খোলার অঙ্গীকার করছি।’’

গাঁধী পরিবারকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘নেহরুর পরে কংগ্রেসের যাঁরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কিংবা সেই পরিবারের কেউ এ সব নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি। কিন্তু নেহরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমি এই কাজ করতে চাইছি।’’ শুরু থেকেই নেহরুকে ঘিরে মোদীর বিভিন্ন পদক্ষেপ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাই মোদীর মুখে আজ এ সব কথা অনেককেই অবাক করে দিয়েছে। ভোটের প্রচার করতে গিয়ে পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নের জন্য রাজনীতিকদের প্রতিশ্রুতি থাকেই। কিন্তু মোদীর নেহরু-প্রীতির পিছনে অনেকে আজ সকালে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত কংগ্রেসের একটি বিজ্ঞাপনকে খুঁজে পাচ্ছেন। সেখানে নেহরুর একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়েছে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘‘দেশের মানুষ আমাকে প্রধানমন্ত্রী বলেন। কিন্তু আমাকে প্রথম সেবক বললে, সেটাই সঠিক হবে।’’ কংগ্রেসের নিশানা স্পষ্ট। কারণ, বিভিন্ন প্রচারসভায় মোদী এই কথাটাই বলে থাকেন। অনেকের মতে, কংগ্রেসের এই খোঁচার পরেই উত্তরপ্রদেশের সভায় নেহরু-গাঁধী পরিবারকেই পাল্টা আক্রমণ করেন মোদী। তাঁর দাবি, নেহরুর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনও আগ্রহই দেখায়নি তাঁর দল ও পরিবার।

Advertisement

শুধু কংগ্রেসই নয়, এ দিন বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মায়াবতী। আজ মোদী বিএসপি নেত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘জন্মদিনে তাঁকে এত বড় টাকার মালা পরানো হয় যে মুখই দেখা যায় না।’’ এ ভাবেই নোট-বিতর্কে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে পাল্টা জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement