কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র
মোদী পদবি নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছিল সুরাতের আদালতে। সেই মামলায় হাজিরা দিয়ে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী বললেন, নির্বাচনী জনসভায় তিনি অবশ্যই মোদী পদবিটির উল্লেখ করেছিলেন, কিন্তু তা কেবলই নরেন্দ্র মোদীর কথা বলতে গিয়ে। সামগ্রিক ভাবে মোদী পদবি বা কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করার কোনও ইচ্ছাই তাঁর নেই, ছিলও না।
রাহুল আদালতে জানান, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময় মোদী পদবিটির উচ্চারণ কেবল মাত্রই নরেন্দ্র মোদীকে বোঝাতে চেয়ে ব্যবহার করা। তিনি আদালতে বলেন, ‘‘আমি কোনও সম্প্রদায়কে উল্লেখ করিনি। ভোটের সময় নিছক কটাক্ষের
সুরে ওই কথা বলেছিলাম। এর বেশি কিছু আমার মনেও নেই।’’ ওই মন্তব্য করার সময় রাহুল কংগ্রেসের সভাপতি পদে ছিলেন।
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী নীরব মোদী এ দেশের ব্যাঙ্কগুলির কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করে বিদেশে পালিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে তখন বিস্তর জলঘোলা হয়, যার আঁচ পড়ে নির্বাচনী প্রচারেও। তার পরেই ২০১৯-এ গুজরাতের এক নির্বাচনী সভায় রাহুল বলেন, ‘‘কী ভাবে সব চোরের পদবি মোদী হয়!’’ ওই মন্তব্য করার পরেই আসরে নেমে পড়ে গুজরাতের বিজেপি। দলের বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ করেন যে, কংগ্রেস সভাপতির ওই মন্তব্য গুজরাতের মোদী সম্প্রদায়ের অবমাননা হয়েছে। তাঁর মামলাটি গ্রহণ করে রাহুলকে নোটিস পাঠায় সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার রাহুলের বয়ানের পরে তাঁর আইনজীবী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নানা ‘কুকীর্তি’কে নিশানা করার জন্যই কটাক্ষের সুরে তিনি ওই কথাটি বলেছিলেন। সামগ্রিক ভাবে মোদী সম্প্রদায়কে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। বাদী-বিবাদী দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে ১২ জুলাই মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন বিচারক।