এক জনের আক্রমণ, রসিকতা অন্য জনের। জমে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গাঁধীর ভোটের প্রচার।
উত্তরাখণ্ডে ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ আনেন, দেব-ভূমি উত্তরাখণ্ডকে লুঠ-ভূমিতে পরিণত করেছে কংগ্রেস। তবে তোপের পাল্টা হিসেবে রসিকতা করতেই দেখা গিয়েছে রাহুল গাঁধীকে। এ দিন হরিদ্বারে রাহুলের রোড-শোয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন বিজেপির অনেক কর্মী। বিজেপির পতাকা হাতে এসেছিলেন এঁরা। বিষয়টি কংগ্রেসের সহ-সভাপতির নজর এড়ায়নি। রাহুল বলেন, ‘‘আমার কথা শুনতে বিজেপির কর্মীরাও চলে এসেছেন দেখছি। ওঁদের মন থেকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’
কংগ্রেস শাসিত এই পাহাড়ি রাজ্যে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া মোদীর সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। রাজ্যের শ্রীনগর এলাকায় পৌঁছে মোদীর সভায় ঝাঁঝও ছিল তাই বেশি। কংগ্রেসের রাজ্য সরকারকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘যাঁদের ক্ষমতায় এনেছিলেন, তাঁরা নিজেদের ফায়দার দিকেই শুধু নজর রেখেছেন। এমনকী তাঁদের ওই সব কাজকর্ম গোপন ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে।’’ মোদী সেই বিতর্কিত স্টিং অপারেশনের ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেখানে অভিযোগের তির সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী হরীশ রাওয়তের দিকে। রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের ঘুষ দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ। মোদী বলেন, ‘‘যাঁরা মানুষের কথা কখনও ভাবেননি, তাঁরা সরকার চালাবেন কী করে?’’ আর হরিদ্বারের রোড-শো থেকে রাহুল বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘‘এই রাজ্যের যে সব দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের তাড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস, মোদী তাঁদেরই বিজেপিতে নিয়ে গিয়ে টিকিট দিয়ে দিয়েছেন।’’
মোদী এ দিন দাবি করেন, আগামী ১১ মার্চ ফল প্রকাশের পরে উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস সরকার ইতিহাসে পরিণত হবে। তাঁর আশ্বাস, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে পর্যটনের বিকাশকেই সব থেকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাঁচ বছরে দেব-ভূমি উত্তরাখণ্ডের বিকাশ অন্য মাত্রায় পৌঁছে যাবে। সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যের চারধাম প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।