বিজেপির সদর দফতরে মোদী। ছবি: পিটিআই।
লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, নিতিন গডকড়ী, রাজনাথ সিংহ, অমিত শাহ। বিজেপির নব-নির্বাচিত সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার অভিষেক মঞ্চে দলের সব প্রাক্তন সভাপতিকে হাজির করিয়ে গাঁধী পরিবারকে নিশানা করার ক্ষেত্র আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। যে নেতাদের মনোনয়ন প্রস্তাবেই আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন নড্ডা। বিজেপি নেতারা সকাল থেকে বলছিলেন, দলের কত নেতা সাধারণ কর্মী থেকে সভাপতি হয়েছেন। আর কংগ্রেসে এখন অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, প্রাক্তন সভাপতি বলতে এখন আছেন রাহুল গাঁধীই।
কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র বনাম বিজেপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র— এই মর্মেই মোদী, শাহ, নড্ডারা বিঁধছিলেন কংগ্রেসকে। এক ধাপ এগোলেন প্রধানমন্ত্রী। নাম না করেই টেনে আনলেন সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে বিরোধিতার প্রসঙ্গ। মেরুকরণের দায়ও পরোক্ষে চাপালেন কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের উপর। রেহাই দিলেন না সংবাদমাধ্যমকেও।
মোদী বললেন, ‘‘যে আদর্শ নিয়ে চলি, তাতেই অনেকের আপত্তি। ভুল করছি বলে নয়, দেশের জনতার আশীর্বাদ পাচ্ছি বলে। ভোটে যাদের প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, যাদের কথা দেশ মানতে রাজি নয়, তাদের হাতে খুব কম হাতিয়ার বাকি আছে। তার মধ্যে একটি হল বিভ্রান্তি ও মিথ্যা ছড়ানো।’’ মোদীর অভিযোগ, ‘‘(আইনের সমর্থনে) যে সভা হচ্ছে, হাজার-হাজার, লক্ষ লোক আসছেন, তার প্রচার হচ্ছে না। এই খেলা চলবে, আমরাও এগোব।’’
কংগ্রেসের এক মুখপাত্রের জবাব, ‘‘নিজের দলকে চাঙ্গা করতে প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন, সেটা তাঁর বিষয়। আর মেরুকরণের তাস খেলে বিরোধীদের ঘাড়ে দায় চাপানোটাও তাঁর পুরনো অভ্যাস।’’