গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গোষ্ঠীহিংসা দীর্ণ মণিপুরে ধারাবাহিক নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ— ‘‘প্রতিপক্ষ জনগোষ্ঠীকে বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করার উদ্দেশ্যেই মহিলাদের উপর গণনির্যাতনের ঘটনা ঘটছে মণিপুরে।’’ শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘‘কোনও অবস্থাতেই মহিলাদের উপর যৌন হিংসার ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। আর তা বন্ধ করতে হবে ওই রাজ্যের সরকারকেই।’’
মণিপুরের কংপোকপি দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনার ভিডিয়ো (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) এবং গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে গত ২০ জুলাই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৮ অগস্ট মণিপুর হিংসার তদন্ত এবং হিংসার ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উপর নজরদারির জন্য হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সেই সঙ্গে জানিয়েছিল, মণিপুরে হিংসার ঘটনার তদন্তে যুক্ত ৪২টি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর উপর নজরদারি করবেন ভিন্রাজ্যের ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকেরা। এক জন ডিআইজি ছ’টি সিটের উপর নজরদারি করবেন।
ওই দিনের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি শীর্ষ আদালতকে জানান, কংপোকপির ঘটনা-সহ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ১১টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সিবিআই তদন্তকারী দলে দু’জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট তখন নির্দেশ দেয়, ভিন্রাজ্যের পাঁচ জন ডিএসপি স্তরের অফিসার সিবিআই তদন্তের উপর নজরদারি করবেন। তাঁদের উপরে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার দত্তাত্রেয় পড়সলগিকর। শুক্রবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মহিলাদের বিরুদ্ধে উন্মত্ত জনতার সঙ্ঘবদ্ধ হামলা রোখার জন্য কড়া শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে।