—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
খারাপ হওয়া মোবাইল সারানোর জন্য তাঁকে ভরসা করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর সেই সব মোবাইল দিয়েই নাকি কুকীর্তি করে বেড়াতেন মুম্বইয়ের ২১ বছরের যুবক আদিত্য ভগত। সম্প্রতি এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, সারানোর জন্য দোকানে থাকা একাধিক ফোন ব্যবহার করে আগেও নানা কুকীর্তি করেছেন তিনি।
ফোনগুলি পরীক্ষা করে পুলিশ জানতে পারে, একাধিক নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত আদিত্য নামের ওই যুবক। ফোনে বহু নির্যাতিতার আপত্তিকর ছবিও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। বার বার ফোন বদল করার জন্য পুলিশ এত দিন ধরে তাঁর নাগালও পায়নি। সাম্প্রতিক ঘটনাটি ঘটে কিছু সপ্তাহ আগে। অভিযোগ যে, মহারাষ্ট্রের নালাসোপাড়ার বাসিন্দা বছর সতেরোর এক নাবালিকাকে ফেসবুকে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠিয়ে বন্ধুত্ব পাতায় অভিযুক্ত। একটি অতিথিশালায় ডেকে এনে নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি বাইরে কাউকে জানালে আপত্তিকর ছবি ফাঁস করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। অপমানে-ঘৃণায় আত্মহত্যা করে ওই নাবালিকা। তার পরই আদিত্য নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মুম্বই পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ভায়ান্ডারে অভিযুক্তের ফোন সারানোর দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। বেশ কিছু ফোন খতিয়ে দেখে জানা যায়, নাম-পরিচয় লুকিয়ে নাবালিকাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেন অভিযুক্ত। তার পর কোনও গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতেন। অবশ্য ঠিক কত জন নির্যাতিত হয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই শিশু নির্যাতন প্রতিরোধী আইন ‘পকসো’য় মামলা রুজু করা হয়েছে অভিযুক্তের নামে।