Manipur Violence

মোবাইল ইন্টারনেট এখনই চালু হচ্ছে না মণিপুরের সাত জেলায়, বেশ কিছু অঞ্চলে আংশিক শিথিল কার্ফু

অশান্তি ঠেকাতে শনিবার থেকে মণিপুরের সাত জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। পরে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু হলেও, মোবাইলে ফেরেনি ইন্টারনেট সংযোগ। বুধবার তা আরও তিন দিন বৃদ্ধি করল মণিপুর সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০২
Share:

মণিপুরের রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি। ছবি: পিটিআই।

মণিপুরে অশান্তির আবহে সাত জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করল সে রাজ্যের সরকার। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৬ নভেম্বর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে ওই জেলাগুলিতে। বুধবার মণিপুর সরকার নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ওই সাত জেলায় আরও তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখা হবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর এবং কাংপোকপি জেলায় এই নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকছে।

Advertisement

ইম্ফল এবং সংলগ্ন অঞ্চলে এখনও বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে। তবে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, কাকচিং এবং থৌবালে কার্ফু আংশিক শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই পাঁচ জেলায় ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল থাকবে। তবে শনিবার পর্যন্ত এই পাঁচটি জেলায় সব স্কুল এবং কলেজ বন্ধ থাকবে।

অশান্ত মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৬ নভেম্বর মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ১৮ নভেম্বর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হলেও, মোবাইল ইন্টারনেট এখনও বন্ধই রাখা হচ্ছে। ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে বিভিন্ন দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। সেই কারণেই ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মণিপুর সরকার।

Advertisement

সম্প্রতি মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। পরে দুই দফায় ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। তবে অনেকেরই অভিযোগ, অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে এসেছে। দেহ উদ্ধারের পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। বিচার চেয়ে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়।

এই আবহেই শনিবার মণিপুরের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সাপম রঞ্জন, উপভোক্তা বিষয়কমন্ত্রী এল সুসীন্দ্র সিংহ বিজেপি বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের জামাতা আরকে ইমো-সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের দাবি, জিরিবাম জেলায় ছ’জনকে খুন করায় অভিযুক্ত যাঁরা, তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। ওই ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মণিপুরের সাত জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement