তামিলনাড়ুতে স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে গলা কেটে খুন। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবককে। অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের চোখের সামনেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই শিক্ষিকার গলা কেটে দেন তিনি। শিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর বিয়ে স্থির হয়েছিল। সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ায় এই হত্যা, জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর তঞ্জাবুরের ঘটনা। নিহত মহিলার নাম রমানী (২৬)। তঞ্জাবুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল মাধন নামের যুবকের সঙ্গে। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্প্রতি বিয়ের কথাবার্তা পাকা করতে দুই পরিবার বৈঠকও করে। কিন্তু পাত্র পছন্দ হয়নি তরুণীর। তিনি বিয়েতে রাজি হননি। ফলে বিয়ে ভেস্তে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে অন্যান্য দিনের মতোই সঠিক সময়ে স্কুলে গিয়েছিলেন তরুণী। তাঁর পিছন পিছন ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্কুলে ঢোকেন ওই যুবকও। বিয়ে প্রত্যাখ্যানের আক্রোশে সকলের সামনেই তিনি তরুণীকে আক্রমণ করেন। ছুরি দিয়ে কেটে দেন গলা।
রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন শিক্ষিকা। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তামিলনাড়ুর স্কুলশিক্ষামন্ত্রী অনাবিল মহেশ পয়ামিজ়ি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, যাদের চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটেছে, তাদের কাউন্সেলিংয়ের বন্দোবস্ত করতেও বলেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট দফতরে তেমন নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবারই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তরুণীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।