ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভারত ধর্মশালা নয় বলেই হুঁশিয়ারি দিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার নেতা রাজ ঠাকরে। মুম্বইয়ে একটি জনসভায় রাজ আজ জানিয়ে দেন, সিএএ-র বিরোধিতা করে যাঁরা পথে নেমেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ‘মহামোর্চা’ গড়ে তোলা হল। এর পরেও বিক্ষোভকারীরা না থামলে ইটের জবাব পাথরে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিজেপির কাছাকাছি আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বালসাহেব ঠাকরের ভাইপো রাজ। মুম্বইয়ের হিন্দু জিমখানায় জনসভা করে আজ তিনি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর দাবি তোলেন। বলেন, ‘‘আমাদের দেশ ধর্মশালা নাকি যে কেউ এসে থেকে যাবে? সব দেশই কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়— সে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া বা অন্য কোনও দেশ। অনুপ্রবেশকারীদের জেলে বন্দি করে রাখে ওরা, নিজের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। আমরাই শুধু মানবিকতার কথা বলি।’’
এত দিন সভা শুরু করতেন, ‘আমার মরাঠী ভাইবোনেরা.. সম্বোধন করে। দলের নতুন গৈরিক পতাকা চালু করার থেকে বলছেন, ‘‘আমার হিন্দু ভাই, বোনেরা...। আজও সেই সম্বোধনেই সভা শুরু করেন রাজ। এমএনএস নেতার দাবি, সিএএ, এনআরসি-র বিরোধিতায় যে বিক্ষোভ চলছে, আজ তার পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে। রাজের কথায়, ‘‘বিক্ষোভের পাল্টা জবাব দিলাম আমরা। মোর্চার বিরুদ্ধে মোর্চা গড়ে।’’ তাঁর যুক্তি, পাকিস্তানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তাঁদের বিপদ হলে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া অন্যায় নয়। আর সিএএ-র ফলে দেশের কোনও নাগরিকের বিপদ হবে না। রাজ বলেন, ‘‘সিএএ নিয়ে এত প্রতিবাদ কিসের বুঝতে পারছি না।’’
আরও পড়ুন: সিএএ থেকে মুদ্রাস্ফীতি, নাজ়মা আপির ইনস্টা-তির
রাজের সভার আগেই তাঁকে কটাক্ষ করেন উদ্ধব। বলেন, ‘‘হিন্দুত্ব নিয়ে আমাকে প্রমাণ দিতে হবে না বালসাহেব ঠাকরের হিন্দুত্বই আমার হিন্দুত্ব। আমি পতাকাও বদলাইনি।’’