সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিলেন দারা সিংহ চৌহান। রবিবার অখিলেশ যাদবের সঙ্গে লখনউয়ে। পিটিআই
আগেই দল ছেড়েছিলেন। রবিবার ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিলেন যোগী সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী দারা সিংহ চৌহান। পাশাপাশি এসপি-তে যোগ দিলেন আপনা দলের বিধায়ক আর কে বর্মাও। দলে দুই নবাগতকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির উদ্দেশে অখিলেশের তোপ— “লোহা গরম থাকতে থাকতেই আঘাত করতে হয়!” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এই লড়াই দিল্লি ও লখনউয়ের ডবল ইঞ্জিন সরকারের সঙ্গে। ওরা (বিজেপি) কেবল বিভেদের রাজনীতি করেছে। আমাদের পাখির চোখ উন্নয়ন।”
অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির নেতা দারা সিংহ আজ যোগী সরকারকে নিশানা করে বলছেন, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ-এর কথা বলে এই সরকার ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে। দেখা যাচ্ছে সবার সাহায্য এরা নিল ঠিকই, কিন্তু বিকাশ হল হাতে গোনা কিছু মানুষের। বাকিদের খুবই খারাপ ভাবে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হল।” এর পরেই তাঁর বক্তব্য, “সমাজের পিছড়ে বর্গ, দলিত, কৃষক, মজদুর, যুবাশক্তি সবাইকে ঠকানো হয়েছে।”
দারা সিং চৌহান উত্তরপ্রদেশে দলিত তথা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা। লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। পদত্যাগের সময় যোগী সরকারের পরিবেশ ও বন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছাড়াও অনগ্রসর শেণির আরও দুই নেতা স্বামীপ্রসাদ মৌর্য এবং ধরম সিংহ সাইনিও যোগীও মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে শুক্রবার অখিলেশ যাদবের উপস্থিতিতে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার মৌর্য যোগী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে দেখা করেছিলেন এসপি প্রধানের সঙ্গে। তার পরেই গত তিন দিনে দুই মন্ত্রী-সহ ৯ বিধায়ক বিজেপি ছেড়েছেন। একের পর এক বিজেপি বিধায়ক এসপি-তে যোগ দেওয়ায় অখিলেশ যাদব কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেছেন, ‘উইকেট পড়ছে’।
যোগী আদিত্যনাথ নিজে ঠাকুর সম্প্রদায়ের। তাঁর শাসন কালে উত্তরপ্রদেশের উচ্চ বর্ণের ব্রাহ্মণদের মধ্যে বিজেপির প্রতি বিতৃষ্ণা প্রকাশ্যে এসেছে বার বার। এ বারের ভোটে গোড়া থেকেই তাই দলিত ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে তুষ্ট করার জন্য আসরে ঝাঁপাতে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে যে ভাবে একের পর এক দলিত নেতা ও মন্ত্রী বিজেপি ছাড়ছেন, তাতে যোগী যথেষ্ট চাপে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের আশঙ্কা, এর ফলে রাজ্যের দলিত ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ভোটব্যাঙ্কের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে।