নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল নির্বাচন কমিশন। নিলামবাজারের সার্কেল অফিসার সুজিত বাগলারি কমিশনের তরফে মামলাটি দায়ের করেন।
সিদ্দেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানে সভা করেছেন, সেই সভায় টাকা বন্টন করেছেন। অভিযোগ, নিলামবাজারের সরকারি গার্লস হস্টেলে মহিলা কর্মী-সহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগে কর্মরত মহিলাদের সভা ডাকেন মন্ত্রী। সেই সভাতে নাকি টাকা-সহ নানা সামগ্রী বন্টন করেছিলেন সিদ্দেক আহমেদ। নিলামবাজারের সরকারি গার্লস হোস্টেলে কংগ্রেসের সভা করায় বিজেপির প্রার্থী শিপ্রা গুণ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানান। সেই সঙ্গে দক্ষিণ করিমগঞ্জ আসনের অন্য প্রার্থীরাও একই অভিযোগ করেন। করিমগঞ্জের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ করা হয়। এরপরেই নিলামবাজারের সার্কেল অফিসার সুজিত বাগলারি গার্লস হোস্টেলে গিয়ে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তিনি সভা বাতিল করার অনুরোধ জানালেও মন্ত্রী তাতে আমল দেননি। কার্যত সভা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসে সার্কেল অফিসার সিদ্দেক আহমেদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেন। দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী শিপ্রা গুণ বলেন, মন্ত্রী সরকারি প্রতিষ্ঠানে সভা করছেন বলে অভিযোগ জানানোর পরেও জেলা রিটার্নিং অফিসার এ বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেননি। দীর্ঘক্ষণ পর এ বিষয়ে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জানালে সবাই নড়েচড়ে বসেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিলে টাকা ও উপহার সামগ্রী ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা যেত।