জোশীমঠ থেকে হারিয়ে গিয়েছে কুণ্ড! বলছেন স্থানীয়রা। ফাইল চিত্র।
জোশীমঠ থেকে হারিয়ে গিয়েছে একাধিক কুণ্ড বা পুকুর। আর তার জেরেই নাকি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে জোশীমঠকে। এমনই দাবি করেছেন সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশ। কুণ্ড হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত না হলেও সকলেই স্বীকার করছেন যে, কোনও এলাকায় বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় কুণ্ড বা পুকুরের গুরুত্ব অপরিসীম।
জোশীমঠের পুরনো বাসিন্দাদের মধ্যে এক জন জানান, আগে শহরের মধ্যে সুনীল কুণ্ড এবং সবি এলাকায় পর পর তিনটি কুণ্ড ছিল। অতীতের স্মৃতিচারণ করে তিনি জানান, ছয়ের দশকের শেষ দিকেও তাঁরা ওই কুণ্ডগুলির জল খেতেন। আর এক প্রবীণ বাসিন্দা শান্তি চৌহানও জানালেন আউলি এবং জোশীমঠের মাঝে থাকা সুনীল কুণ্ড-সহ একাধিক জলাধার শহর থেকে স্রেফ উধাও হয়ে গিয়েছে। নির্মাণকাজের জন্যই কুণ্ডগুলি উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অনুমান তাঁদের। তবে বাসিন্দাদের আশঙ্কা ওই সব জল চুঁইয়ে ভিতরে ঢুকেই বিপদ বাড়িয়েছে। সেই জল বেরিয়ে আসাতেই নাকি ফাটল ধরছে সেখানকার বাড়িগুলিতে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, নির্মাণকাজে খোঁড়াখুঁড়ির পরে ভূগর্ভস্থ জল বেরিয়ে যাওয়াতেই ভিতর থেকে ফাঁপা এবং নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে হিমালয়ের কোলে থাকা এই শহর।
অন্য দিকে, জেলা প্রশাসন ফাটল ধরা ৮৬৩টি বাড়িকে চিহ্নিত করেছে। বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা। জেলাশাসক জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক তুষারপাতের কারণে কিছু জায়গায় ফাটল আরও চওড়া হয়েছে। প্রায় দেড়শোটি বাড়ি সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় আছে বলে জানানো হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।