কোটায় নিখোঁজ ১৭ বছরের ছাত্র পীযূষ। ছবি: সংগৃহীত।
কোটায় পড়তে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আচমকা উধাও হয়ে যায় কিশোর। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে হঠাৎ করেই কথাবার্তা বলা বন্ধ করে দেয়। অনেক চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন অভিভাবকেরা। ১১ দিন টানা তল্লাশির পর অবশেষে সেই ছাত্রের খোঁজ মিলেছে। তাঁকে পাওয়া গিয়েছে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরের শহর থেকে।
উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলশহরের বাসিন্দা ১৭ বছরের পীযূষ। গত দু’বছর ধরে আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষা জয়েন্টের জন্য রাজস্থানের কোটায় প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। কোটার ইন্দ্র বিহার এলাকায় একটি হস্টেলে থাকত। বাবা, মায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল পীযূষের। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কিশোর তার মায়ের সঙ্গে শেষ বার কথা বলে। তার পর তার ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হস্টেলে খোঁজ করে জানা যায়, ১৪ তারিখ একটি পরীক্ষা দিতে বেরিয়েছিল কিশোর। তার পর আর হস্টেলে ফেরেনি।
কিশোরের উদ্বিগ্ন পরিবার জওহরনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। সেই থেকে শুরু হয় কিশোরের খোঁজ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ঘেঁটে পুলিশ তার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কিশোরকে পাওয়া যায়নি।
১১ দিন পর গোপন সূত্রে পুলিশ ওই কিশোরের খোঁজ পায়। জানা যায়, তাকে হিমাচলপ্রদেশের দেহরাদূনে দেখা গিয়েছে। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। কিশোরকে পাওয়া যায় ধর্মশালা থেকে। কোটা থেকে হিমাচলের এই শহরের দূরত্ব ৯৭৫ কিলোমিটার।
কী ভাবে, কোন পরিস্থিতিতে কিশোর কোটা থেকে ধর্মশালায় পৌঁছে গেল, কেনই বা হস্টেল ছেড়ে সে চলে গেল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তারা জানিয়েছে, কিশোরের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। তাই তার কাছ থেকে কোনও তথ্য এই মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে না। কোটায় নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরের কাউন্সেলিং করানো হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।