ফাইল চিত্র।
খোলা মাঠে শৌচকর্ম করতে যাওয়া বছর বারোর এক বালিকাকে আঁচড়ে-কামড়ে মারল এক পাল কুকুর।
এমনই ঘটনায় প্রশ্ন উঠল ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জেলাকে ‘নির্মল’ ঘোষণার দাবি নিয়ে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কোডারমাকে ‘নির্মল’ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।
ঘটনাস্থল ভগবানডিহি গ্রাম। রবিবার ভোরে বাড়ির পাশের কৃষিজমিতে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল মধু কুমারী। তখনই তাকে ঘিরে ধরে কয়েকটি কুকুর। ওই মাঠের পাশ দিয়ে ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছিল স্থানীয় কয়েক জন কিশোর। তাদের মধ্যে ছিল বিকাশ কুমার। সে বলে, ‘‘মাঠে একটা মেয়ের আর্তনাদ শুনতে পেলাম। কাছে গিয়ে দেখি, কয়েকটা কুকুর ওকে ঘিরে ধরে কামড়াচ্ছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ।’’
কুকুরগুলিকে তাড়িয়ে দেয় ওই ছেলেরা। ততক্ষণে মাঠে লুটিয়ে পড়েছিল মধু। সারা গা ক্ষতবিক্ষত। বিকাশ বলে, ‘‘কুকুররা ওর গায়ের অনেক জায়গায় মাংস খুবলে নিয়েছিল। বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিল সে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।’’ মধুর বাবা উমেশ সিংহ গুজরাতের সুরাতে মজুরের কাজ করেন। তার মা চামেলীদেবী বলেন, ‘‘বাড়িতে শৌচালয় ছিল না। তাই মেয়ে মাঠে গিয়েছিল।’’
এ জন্য ওই পরিবারের সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করছে প্রশাসন। কোডারমার ডিসি সঞ্জীব কুমার বেসরার দাবি, ‘‘ওই বাড়ির সদস্যরা দারিদ্রসীমার নীচে
বসবাস করেন না। তাই শৌচালয় তৈরির জন্য প্রশাসনিক ‘বেস লাইন সার্ভে’তে তাঁদের নাম ছিল না। ওঁদের নিজেদেরই বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করে নেওয়ার কথা ছিল।’’ এ কথা মানতে নারাজ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, ওই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না জেলা প্রশাসন। কারণ গ্রামপ্রধান মধুদের বাড়ির কাছে থাকেন। তিনি জানতেন মধুদের বাড়িতে শৌচালয় নেই। তার পরও তিনি কেন তাঁদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেলনি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা।