নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই নাবালিকাকে তারই দিদি কম করে ছ’বার অর্থের বিনিময়ে ভিন্ন ভিন্ন পুরুষের হাতে তুলে দিয়েছে। প্রতীকী চিত্র
প্রথমে মাদক সেবনে বাধ্য করা। তার পর জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো। নিজের দিদির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলল ভোপালের এক নাবালিকা। ওই কিশোরীর বয়ানের ভিত্তিতে তার ২০ বছরের দিদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই নাবালিকাকে তারই দিদি কম করে ছ’বার অর্থের বিনিময়ে ভিন্ন ভিন্ন পুরুষের হাতে তুলে দিয়েছে। রয়েছে জোর করে মাদক সেবন করানোর অভিযোগও।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে ওই কিশোরীর মাদকাসক্তি রুখতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই সেই কিশোরী জানিয়েছে, কে, কী ভাবে তাকে মাদকের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। পরে পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানেও সে জানিয়েছে, যখন তার ১৩ বছর বয়স, তখনই মাদকের নেশা ধরিয়েছে তার দিদি।
কিশোরী পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে আরও জানিয়েছে, এর পর তাকে ইন্দৌরে নিয়ে যায় তার দিদি। সেখানে একজন পুরুষের সঙ্গে জোর করে তাকে একটি ঘরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই পুরুষ তাকে ধর্ষণ করে, দিদিকে দু’হাজার টাকা দেয়।
নির্যাতিতার দিদিকে ছাড়া আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, যারা ওই কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছিল। সব মিলিয়ে মোট ছ’জন অভিযুক্তকে রাখা হয়েছে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে।
আরও পড়ুন: বিজেপি দু’অঙ্কে গেলে টুইটার ছাড়ব, চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন প্রশান্ত কিশোর
আরও পড়ুন: পেটে সংক্রমণ, মুসৌরিতে ছবির সেটে গুরুতর অসুস্থ মিঠুন চক্রবর্তী