প্রতীকী চিত্র।
নয়াদিল্লির অভিজাত এলাকা গ্রেটার কৈলাসে চার জনের হাতে গণধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের এক নাবালিকা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ১৭ বছরের এক নাবালক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নির্যাতিতা নাবালিকা গ্রেটার কৈলাসে একজনের বাড়িতে গৃহ সহায়িকার কাজ করে। তাঁদের বাড়িতেই থাকত সে। সেই বাড়ির কাছেই সারভেন্ট কোয়ার্টারে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনকারীদের থেকে কোনও মতে পালিয়ে যে বাড়িতে কাজ করে তাঁদেরকে এসে ঘটনার কথা বলে নির্যাতিতা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। এর পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নাবালক নির্যাতিতার ‘বন্ধু’ ছিল। বাকি ৩ জন হল শিবম (২০), মঙ্গলেশ (৩০) ও হরিশঙ্কর (১৮)।
ঘটনা নিয়ে ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (সাউথ) অতুলকুমার ঠাকুর বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতা যাঁর বাড়িতে কাজ করে, সেখানেই আগে কাজ করত অভিযুক্ত নাবালক। সেখানেই তাদের বন্ধুত্ব হয়। এক মাস আগে সেখানকার কাজ ছেড়ে দেয় অভিযুক্ত। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে। অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে সে ডেকে পাঠিয়েছিল। যেতেই অভিযুক্ত চার জন তার উপর নির্যাতন চালায়।’’
আরও পড়ুন: রিলে অনশনে কৃষকরা, থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ ‘মন কি বাত’-এর
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ওই নাবালিকা নির্যাতিতা বলেছেন, ‘‘আমাকে জোর করে ঘরে নিয়ে গিয়ে সারা রাত ধরে অত্যাচার চালায়। আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমার গলা চেপে ধরে। আমিও ওদের খিমচে দিয়েছি। ভোর ৪টেয় একজন দরজা খুলছিল। আমি সেই সুযোগে বেরিয়ে পালিয়ে আসি।’’
আরও পড়ুন: ‘বাড়ি থেকে কাজ’ পর্বে হ্যাকার দৌরাত্ম্য বাড়ল, ভারতে শিকার ৩ কোটি ৬০ লক্ষ