মা, ঠাকুরদা এবং বোনকে খুনের অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
মা, ঠাকুরদা এবং দশ বছরের বোনকে খুনের অভিযোগ উঠল বছর ষোলোর এক কিশোরের বিরুদ্ধে। রেহাই পাননি এক পড়শিও। তাঁকেও খুন করা হয়। তার পর চার জনের দেহ কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার ধলাই জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে। রবিবার ওই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কিশোরের বাবা কাজে চলে যান। তখন বাড়িতে ছিলেন তার মা, ঠাকুরদা এবং বোন। প্রতিবেশীদের দাবি, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কিশোরের বাড়িতে জোরে গান বাজছিল। কোনও চিৎকার বা চেঁচামেচি শোনেননি তাঁরা।
সন্ধ্যাবেলায় কিশোরের বাবা বাড়ি ফিরতেই দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। ডাকাডাকি করে কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কুয়োর মধ্যে চার জনের দেহ দেখতে পান তিনি। চিৎকার করে পড়শিদের ডাকেন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। এর পরই কুয়ো থেকে চার জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কিশোরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বাবা। প্রতিবেশীদের দাবি, কিশোর নিয়মিত নেশা করত। এ নিয়ে প্রায়ই পরিবারে অশান্তি হত। তার জেরেই কি খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পড়শিকে কেন খুন করল তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি কোনও আওয়াজ পেয়ে কিশোরের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই পড়শি? সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আঘাতের চিহ্ন দেখে বোঝা যাচ্ছে চার জনকেই ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে।