বন্দে ভারতে শিকে ছিড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের। ফাইল চিত্র।
গোড়ায় শিকে ছেড়েনি পশ্চিমবঙ্গের। এত দিন দ্রুতগতির ‘বন্দে ভারত’ ট্রেন হয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসী, না হলে ভোটমুখী হিমাচলপ্রদেশ ও গুজরাত। পরের ধাপে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে অন্তত ৫টি বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে বলে দাবি রেল মন্ত্রকের।
১৫ অগস্টের মধ্যে দেশের বিভিন্ন রুটে ৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী ও দিল্লির মধ্যে প্রথম যাত্রা শুরু করা এই ট্রেনের গতিসীমা এখন ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারে বেঁধে দিলেও, ট্র্যাক পরিকাঠামো ঠিক থাকলে তা প্রয়োজনে ১৬০-১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে দৌড়নোর ক্ষমতা রাখে। বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি গুজরাতের আমদাবাদ থেকে মুম্বই সেন্ট্রাল ও হিমাচলের অম্ব অন্দৌরা থেকে দিল্লি— দুই রুটে বন্দে ভারত ট্রেন উপহার দেন মোদী। আগামী বছর কর্নাটকে ভোট। তাই এখন থেকেই ওই রাজ্যের ভোটারদের বার্তা দিতে চলতি মাসে মাইসুরু থেকে চেন্নাই সেন্ট্রাল পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিষেবা শুরু হয়েছে।
মন্ত্রকের আশ্বাস, বন্দে ভারতে বঞ্চিত থাকবে না পূর্ব ভারতও। সেখানে অন্তত পাঁচটি ওই ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যে সব রুটে ওই ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হয়েছে, সেগুলি হল: হাওড়া-রাঁচী, হাওড়া-ঝাড়সুগুদা, হাওড়া-ভুবনেশ্বর, হাওড়া-পটনা ও হাওড়া/শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি। মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, “মূলত পর্যটক ও সময় বাঁচাতে চাওয়া ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবা। তা ছাড়া, ওই রুটগুলিতে বিমান পরিষেবাও প্রয়োজনের তুলনায় কম।”
আগামী বছরে দশটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বন্দে ভারতের রুট বাছাইয়ে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা যে বড় কারণ হবে, তা বিলক্ষণ জানেন রেলকর্তারা। তাই পশ্চিমবঙ্গে পরিষেবা চালুর দিনক্ষণ বলছেন না। তবে এক রেলকর্তা বলেন, “আশা করি, ছ’মাসের মধ্যে অন্তত দু’টি বন্দে ভারত দাঁড়িয়ে থাকবে হাওড়া স্টেশনে।”