প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার শপথ নেওয়ার আগেই বলেছিলেন, সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জন করতে হবে। ‘সবকা সাথ’, সবকা বিকাশ’-এর সঙ্গে তাঁর নতুন মন্ত্র ছিল ‘সবকা বিশ্বাস’। কিন্তু দ্বিতীয় মোদী সরকারের বাজেটে অন্তত তার কোনও প্রতিফলন দেখা গেল না। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের বাজেটে এক পয়সাও বাড়তি বরাদ্দ হল না। উল্টে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিকের আগে ও পরের স্কলারশিপের বরাদ্দ অর্থ কমল! সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে গিয়ে পড়ার জন্য ঋণে সুদে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দও কমে গেল।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তারা অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, স্কুল শিক্ষায় স্কলারশিপ বা বিদেশে শিক্ষার ঋণে সুদ ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ কমলেও সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের উচ্চ সরকারি পদে চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণে বরাদ্দ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। আইএএস, আইপিএস-এর চাকরির জন্য ইউপিএসসি-র পরীক্ষা, স্টাফ সিলেকশন কমিশন বা রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার জন্য সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের নিখরচায় বা ভর্তুকিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০১৮-১৯-এ তার জন্য বরাদ্দ ছিল ৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে সেই বরাদ্দ বেড়ে ২০ কোটি টাকা হয়েছে।
সামগ্রিক ভাবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ আগের বছরের মতোই ৪,৭০০ কোটি টাকা রয়েছে। কিন্তু প্রাক্-মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক-পরবর্তী শিক্ষায় স্কলারশিপের ক্ষেত্রে বরাদ্দ ১,৭৬৯ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ১,৫১৬ কোটি টাকা। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি ঘোষণা করেছিলেন, শিক্ষার মাধ্যমেই সংখ্যালঘুদের সামাজিক উন্নতির চেষ্টা হবে। তার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের শিক্ষার উন্নয়নের খাতে বরাদ্দ ২,৪৫১ কোটি টাকা থেকে কমে ২,৩৬২ কোটি টাকা হয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।