কৃষক আন্দোলনে মৃত কৃষকদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবিতে এ বার লোকসভায় সরব হলেন রাহুল গাঁধী। আজ এই দাবিতে তিনি লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনলেও তা মানা হয়নি। তাই ‘জ়িরো আওয়ার’-এ তিনি এ বিষয়ে বলেন। প্রধানমন্ত্রী যে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে চাষিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, তা মনে করিয়ে রাহুল বলেন, এর পরে কৃষকদের অধিকার, ক্ষতিপূরণ ও চাকরি পাওয়া দরকার।
গত সপ্তাহে সংসদে জানানো হয়েছিল, কৃষক আন্দোলনে কত জন চাষির মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কোনও তথ্য নেই। তারপরে রাহুল সাংবাদিক বৈঠক করে পঞ্জাবের ৪০০-র বেশি কৃষকের নামের তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। আজ সেই তালিকা সংসদেও পেশ করেছেন রাহুল। তার সঙ্গে হরিয়ানার ৭০ জন মৃত কৃষকের নামের তালিকাও সংসদে পেশ করেছেন। রাহুল বলেন, ‘‘গোটা দেশ জানে, কৃষক আন্দোলনে প্রায় ৭০০ জন কৃষক শহিদ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। উনি বলেছেন,
ভুল হয়েছিল।’’
রাহুল কৃষি মন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন, মৃত কৃষকদের কি ক্ষতিপূরণ মিলবে? কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরে কৃষকদের দাবি মেনে এমএসপি-র আইনি নিশ্চয়তার বিষয়ে বিবেচনা করবে? এর সঙ্গে কোভিডে কৃষি ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব পড়েছে, চাষিদের ঋণের বোঝা বেড়েছে কি না, তা নিয়েও জানতে চান রাহুল। কৃষি মন্ত্রক প্রথম দুটো প্রশ্ন বাদ দিয়ে বাকি দুই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। সে ক্ষেত্রেও শুধু উত্তর দিয়েছে, অতিমারির সময়ও কৃষি কাজ ঠিক ভাবেই চলেছে। রাহুল বলেন, ‘‘কী রসিকতা! প্রথম দুটি প্রশ্ন মুছে দিলেন।’’
আজ কৃষি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিরোধীরা ফসল কেনা ও এমএসপি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। গত সপ্তাহে চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার বিষয়ে আলোচনার কথা থাকলেও যথেষ্ট সংখ্যক সদস্য না থাকায় বৈঠক হয়নি। কৃষি মন্ত্রকের কর্তারা আজ এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। ঘটনাচক্রে, কেন্দ্রীয় সরকারের চাল কেনার নীতির বিরুদ্ধে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি শীতকালীন অধিবেশনই বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।