মিমি-নুসরত কি আজ সংসদে বলবেন?

ভোটের ফল বেরনোর পরই ছিল নুসরতের বিয়ে। সেই বিয়েবাড়ি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বন্ধু মিমিও। গিয়েছিলেন তুরস্ক। তাই স্পিকারের অনুমতিক্রমে আজকের তারিখে দু’জনের শপথ গ্রহণের দিন ধার্য হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০২:৩৯
Share:

সংসদ ভবনে ঢুকছেন নুসরত জাহান রুহি জৈন এবং মিমি চক্রবর্তী। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।

নতুন ইনিংস শুরু করলেন মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জহান। মঙ্গলবার সকালে একবার শপথ নেওয়ার সময় এবং পরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনতে— দু’দফায় সংসদে আসেন যাদবপুর এবং বসিরহাটের দুই সাংসদ। তৃণমূল সূত্রের খবর, আজ সংসদের জিরো আওয়ারে নিজেদের পছন্দ মতো বিষয় নিয়ে বলতেও দেখা যেতে পারে তাঁদের।

Advertisement

ভোটের ফল বেরনোর পরই ছিল নুসরতের বিয়ে। সেই বিয়েবাড়ি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বন্ধু মিমিও। গিয়েছিলেন তুরস্ক। তাই স্পিকারের অনুমতিক্রমে আজকের তারিখে দু’জনের শপথ গ্রহণের দিন ধার্য হয়। এর আগে যখন কাগজপত্র জমা দিতে এসেছিলেন, সংসদ চত্বরে আধুনিক পোশাকে দু’জনের ছবি নিয়ে ঝড় উঠে ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। দু’জনেরই পরেছিলেন সাদা রং। মিমি সালোয়ার কামিজ, নুসরত শাড়ি। চওড়া বেগুনি পাড়ের সাদা শাড়ি, লাল টিপ ও সিঁদুর পরা নুসরত ‘সালাম আলেকুম’ দিয়ে শুরু করে বাংলায় শপথ নেন। শেষে ‘জয় হিন্দ’ এবং ‘জয় বাংলা’র পাশাপাশি ‘বন্দেমাতরম’ও বলেন তিনি। বিবাহ-পরবর্তী পদবি যোগ করে নিজের নাম বলেন, ‘নুসরত জহান রুহি জৈন’। মিমি বাংলায় শপথ নেওয়ার আগে হিন্দিতে উপস্থিত গুরুজনদের প্রণাম জানান। দু’জনেই প্রণাম করেন স্পিকারকে এবং সংসদের ঢোকার সিঁড়িকেও।

মিমির কথায়, ‘‘আজ সংসদে প্রথম দিন। নতুন একটা পথ চলা শুরু হল। তাই সংসদকে প্রণাম করে ঢুকেছি। আমার খুব ভাল লাগছে, নুসরতের সঙ্গে একই দিনে আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হল। আমাদের বন্ধুত্ব ছিল, আছে, থাকবে।’’ এর আগে তৃণমূলের অন্য সাংসদদের শপথ গ্রহণের দিন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে কক্ষ কাঁপিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদেরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই দুই নবাগতার শপথে রা কাড়েননি তাঁরা। যা দেখে হালকা চালে কেউ কেউ বলছেন, ‘‘সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র!’’

Advertisement

শপথ নেওয়ার পর দোতলায় এসে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলেন নায়িকাদ্বয়। সেন্ট্রাল হলে বসে লোকসভায় তৃণমূলের চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বুঝে নেন জিরো আওয়ারে প্রশ্ন তোলার নিয়ম কানুন। কল্যাণবাবু তাঁদের অনুরোধ করেন, আর দেরি না করে আগামিকালই সক্রিয় ভাবে সংসদের কাজে লিপ্ত হতে। তিনি পরে বলেন, ‘‘মিমি আর নুসরত দু’জনেরই রাজনৈতিক সম্ভাবনা উজ্জ্বল। খুবই বুদ্ধিমতী ওরা। আমি চিফ হুইপ হিসাবে চেষ্টা করছি ওদের কাজে লাগানোর জন্য।’’ সংসদের কাজ সেরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সংসদ ভবনের ৪ নম্বর গেট দিয়ে বেরোন মিমিরা। আর সেই সময় ফটোগ্রাফারদের তুমুল ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় ছবি তোলা নিয়ে। নুসরতের সঙ্গীর সঙ্গে কিছুটা ধাক্কাধাক্কিও হয়। সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষমা চান নুসরত। ছবিও তোলা হয়।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement