প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এসপিজি সদস্যরা। ফাইল চিত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা, নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। গোয়েন্দা সূত্রে এমনই সতর্কবার্তা পাওয়ার পরে জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গোয়েন্দাদের জারি করা ৯ পাতার ওই সতর্কবার্তার নথিতে বলা হয়েছে, মোদীর পাশাপাশি প্রজাতন্ত্র দিবসের ওই অনুষ্ঠানে যাঁরা উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের উপরেও হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে জঙ্গিরা।
এ বার প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ— কাজ়াখস্তান, কিরঘিজ়স্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজ়বেকিস্তানের শীর্ষ নেতাদের।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান-আফগানিস্তান অঞ্চলের কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীই হামলার পরিকল্পনা করছে। সন্দেহভাজন জঙ্গি-গোষ্ঠীর তালিকায় রয়েছে লস্কর-ই-তইবা, দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফোর্স, জইশ-ই-মহম্মদ, হরকত-উল-মুজাহিদিন, হিজব-উল-মুজাহিদিন। জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে এমন জায়গা, যেখানে শীর্ষ নেতানেত্রীরা থাকবেন। সঙ্গে জনসমাগমও হবে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, ড্রোনের মাধ্যমেও হামলার চেষ্টা হতে পারে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানে থাকা খলিস্তানি গোষ্ঠী ক্যাডার পাঠিয়ে পঞ্জাবে অশান্তির ছক কষছে। শুধু পঞ্জাব নয়, অন্যান্য রাজ্যেও হামলা চালানো হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কাশ্মীরে সিআরপি-র কুইক অ্যাকশন টিম (কিউএটি)-এর ধাঁচে বিশেষ কিউএটি গঠন করছে কেন্দ্র। দিল্লিতে জঙ্গি হানা বা আত্মঘাতী হামলার মোকাবিলাই ওই বিশেষ দল গঠনের মূল উদ্দেশ্য। প্রয়োজনে ভিভিআইপি কিংবা সংসদ ভবনের নিরাপত্তার জন্যও কিউএটি-কে কাজে লাগানো হতে পারে। কাশ্মীর বা মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলে যাঁরা সফল ভাবে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছেন, এমন বাছাই করা ৫০ জন সিআরপি কমান্ডো থাকবেন দিল্লি কিউএটি-তে। তাঁদের কাছে থাকবে দিন ও রাতে অভিযান চালানোর উপযুক্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র।
বহু দিন কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে যুক্ত থেকেছেন, এমন পদস্থ অফিসারেরা এই দলের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন। আইইডি চিহ্নিতকরণের জন্যও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ওই দলটিকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় প্রাথমিক ভাবে এই কিউএটি দলকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।