শ্রমিককে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ (বাঁ দিকে)। ঘটনাস্থলে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
তামিলনাড়ুতে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনা বেড়ে চলেছে। ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে এক মাসের মধ্যে পাঁচ জন পরিযায়ী শ্রমিককে মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ‘ছেলেধরা’র একটা গুজব চলছে। আর সেই গুজবের জেরে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর রাজ্যের কোথাও কোথাও হামলার ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবারও তেমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বিহারের এক পরিযায়ী শ্রমিককে ঘিরে ধরে তাঁর পরিচয় এবং ঠিকানা জানতে চান স্থানীয়রা। কিন্তু ওই শ্রমিক মত্ত অবস্থায় থাকায় ঠিক মতো পরিচয় বা ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। শ্রমিককে তাঁর ফোন দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি দিতে অস্বীকার করেন।
কোনও পরিচয়, ঠিকানা বলতে না পারায় তাঁকে ‘ছেলেধরা’ বলে সন্দেহ করেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, তার পরই ওই শ্রমিককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শ্রমিককে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে মারধর করার খবর পুলিশের কাছে পৌঁছয়। পুলিশের একটি দল এসে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই শ্রমিক কাজ সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে এক জায়গায় বসে বিহারে পরিবারের সঙ্গে ফোনে ভিডিয়ো কলে কথা বলছিলেন। কিন্তু কয়েক জন তাঁর দিকে এগিয়ে আসায় ফোন চুরির ভয়ে সেটি বন্ধ করে দেন।
শ্রমিককে ‘ছেলেধরা’ বলে স্থানীয়রা দাবি করলেও, পুলিশ সেই দাবিকে নস্যাৎ করেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশ আবেদন করেছে, তাঁরা যেন কোনও গুজবে কান না দেন। কারণ তামিলনাড়ুতে বেশ কিছু দিন ধরেই এই গুজব চলছে যে, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি থেকে বেশ কিছু লোক এসে শিশুদের অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। সেই গুজবের জেরে এক মাসের মধ্যে পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিককে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে মারধর করা হয়েছে।