—ফাইল চিত্র।
শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো নিয়ে সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে পর্যালোচনা করে তবেই ট্রেন চালানোয় অনুমতি দিতে পারবে রেলমন্ত্রক। পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে তোলা এবং ট্রেন থেকে নামার পর তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা করা হবে, তার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে।
শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের সময়সূচি, গন্তব্য এবং পথে কোথায় কোথায় ট্রেন থামবে, সে ব্যাপারে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে রেলমন্ত্রকই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ট্রেনে ওঠার জন্য কী কী ধাপ পেরোতে হবে যাত্রীদের, ট্রেনের কামরায় তাঁরা কী কী সুযোগ সুবিধা পাবেন, টিকিট বুকিংয়ের জন্য কী কী করতে হবে, রেলমন্ত্রকের তরফে তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করিয়েই এত দিন ট্রেনে যাত্রী তোলা হচ্ছিল। তাতে যাঁদের মধ্যে করোনার কোনওরকম উপসর্গ থাকবে না, শুধুমাত্র তাঁদেরই ট্রেনের ওঠার অনুমতি দেওযা হবে বলে এ দিন জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন: বাস নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত, প্রিয়ঙ্কাকে ফের চিঠি যোগী সরকারের
আরও পড়ুন: প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ৩ জেলায়, কলকাতাতেও বিশেষ সতর্কতা
শুরু থেকেই ট্রেনের কামরায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিল রেলমন্ত্রক। কিন্তু কিছু দিন আগে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা। আরও বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ট্রেনের কামরায় যত সংখ্যক বার্থ রয়েছে, তত সংখ্যক যাত্রী তোলা হবে বলে জানানো হয়। এ দিন সেই নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, ট্রেনের মধ্যে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গন্তব্যে পৌঁছনোর পর সকল যাত্রীকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।