পল্লবীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওড়ালেন আকবর।
ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন এমজে আকবর। আমেরিকা নিবাসী সাংবাদিক পল্লবী গগৈয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর দাবি, নব্বইয়ের দশকে ওই সাংবাদিকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাঁর। আর তাঁদের মধ্যে যা কিছু হয়েছিল, সবই দু’জনের সম্মতিতে। তাতে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মল্লিকা। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত পল্লবীর সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষিতে এমন দাবি করেছেন তাঁরা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া বিবৃতিতে আকবর জানান, ‘‘১৯৯৪ সাল নাগাদ পল্লবী গগৈ এবং আমার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। তাতে দু’জনেরই সম্মতি ছিল। বেশ কয়েকমাস টিকেও ছিল সম্পর্কটি। বিষয়টি সর্বসমক্ষে এসে পড়ায় বাড়িতে তা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। যার পর সম্পর্ক ভেঙে যায়। তবে সম্পর্কের শেষটা বোধহয় ভাল হয়নি।’’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, সেই সময় তাঁদের সঙ্গে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের অনেকেই সম্পর্কের কথা জানতেন। বিষয়টি নিয়ে সাক্ষ্য দিতে রাজি সকলেই।
এএনআই-কে দেওয়া আকবরের বিবৃতি।
এম জে আকবরের স্ত্রী মল্লিকা আকবরও স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এতদিন মিটু আন্দোলন থেকে দূরেই ছিলাম। স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে ওয়াশিংটন পোস্টে পল্লবী গগৈয়ের অভিযোগ দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। সত্যিটা তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে। আমার স্বামীর সঙ্গে ওঁর সম্পর্কের কথা জানতাম আমি। রাতবিরেতে বাড়িতে ফোন আসত। এমনকি, আমার সামনেও আকবরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছেন উনি। তুষিতা পটেল এবং পল্লবী গগৈ আমাদের বাড়িতে নৈশভোজেও এসেছেন। একসঙ্গে বসে মদ্যপান করেছেন। তখন নির্যাতনের ছাপ দেখিনি ওদের মুখে। পল্লবীর মিথ্যে বলা কারণ জানি না। তবে ডাহা মিথ্যে বলছেন উনি।’’
এমজে আকবরের স্ত্রী মল্লিকা আকবরের বিবৃতি।
আরও পড়ুন: এ বার আকবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন মার্কিন সাংবাদিক
সম্প্রতি একাধিক মহিলা আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এনেছেন। যার জেরে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। তাতে নয়া সংযোজন ঘটে বুধবার। মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন আমেরিকা নিবাসী সাংবাদিক পল্লবী গগৈ। বর্তমানে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও’(এনপিআর)-তে কর্মরত তিনি। সেখানে দু’দশক আগের কথা তুলে ধরে অভিযোগ আনেন ।