Meta AI

যে কোনও প্রশ্নের উত্তর বাতলানো ‘মেটা এআই’ এক মহিলার প্রাণও বাঁচালো! যথা সময়ে খবর দিল পুলিশকে

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুরে। লখনউয়ের মোহনলালগঞ্জের এসিপি রজনীশ বর্মা জানিয়েছেন, দুপুরে হঠাৎই পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া সেন্টারে মেটার তরফে একটি সতর্কতাবার্তা এসে পৌঁছয় তাদের কাছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৪৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

যে কোনও প্রশ্ন করলেই সে হাজির জবাব! প্রশ্ন আঙুল থেকে কি-বোর্ডে খসতে না খসতেই উত্তর লিখতে শুরু করে সে। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ— কোনও কিছুতেই তাকে দমানো যায় না। হোয়াটসঅ্যাপে বা ফেসবুকের এক কোনে জ্বলজ্বল করা সেই ‘মেটা এআই’ সহকারী এ বার এক তরুণীর প্রাণও বাঁচাল। মানসিক আঘাত পেয়ে আত্মঘাতী হতে চাওয়া ২১ বছরের এক তরুণীর সম্ভাব্য পদক্ষেপ আন্দাজ করে খবর পাঠাল পুলিশকে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করে রক্ষা করে ওই তরুণীকে। ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীকে ছেড়ে তাঁর স্বামী চলে যাওয়ায় তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। পুলিশ ওই তরুণীর স্বামীকেও গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুরে। লখনউয়ের মোহনলালগঞ্জের এসিপি রজনীশ বর্মা জানিয়েছেন, দুপুরে হঠাৎই পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া সেন্টারে মেটার তরফে একটি সতর্কবার্তা এসে পৌঁছয় তাদের কাছে। তাতে বলা হয় এক তরুণী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। নিরাপদে উদ্ধার করে ওই তরুণীকে।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে ওই তরুণী তাঁর প্রেমিক ২৩ বছরের এক যুবকের সঙ্গে মাস চারেক আগে আর্যসমাজ মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। সম্প্রতি ওই যুবক তাঁর স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান। যে হেতু ওই বিয়ের কোনও আইনি ভিত্তি নেই তাই ওই তরুণীর সামনে সুবিচার পাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন এবং আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। নিজের কথা জানিয়ে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো করেন তিনি। সেই ভিডিয়ো থেকেই বিষয়টি অনুমান করে পুলিশকে সতর্কবার্তা পাঠায় মেটা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা এখন সুস্থ। তাঁর সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে চলছে পুলিশের একটি বিশেষ দল। তাঁর মানসিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর পাশপাশি ওই তরুণীর স্বামীকে গ্রেফতার করে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement