করোনাবিধি কি মেনে চলা হচ্ছে আক্ষরিক ভাবে? -ফাইল ছবি।
উৎসবের মরসুম কেটে যাওয়ার পর রাজ্যে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।
কেন্দ্রীয় সরকারকে শুক্রবার শীর্ষ আদালত বলল, শুধু নতুন নতুন গাইডলাইন ঘোষণা করলেই সংক্রমণ রোখা যাবে না। সেই গাইডলাইন পুরোপুরি মেনে চলা হচ্ছে কি না সে দিকে কড়া নজর রাখতে হবে। গাইডলাইন মেনে চলার জন্য প্রশাসনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। প্রতিটি রাজ্য গাইডলাইন আক্ষরিক অর্থেই মেনে চলছে কি না সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকেই আরও সতর্ক হতে হবে। উৎসবের মরসুম কেটে যাওয়ার পরপরই দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ওঠায় জমায়েত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। দেশে এখনও পর্যন্ত সংক্রমিতের সংখ্যা ৯৩ লক্ষ ৯ হাজার ৭৮৭।
সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ এ দিন বলেছে, ‘‘প্রতিমা নিয়ে মিছিল হচ্ছে। জমায়েত হচ্ছে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এখনও মাস্ক পরছেন না। বাকিরা মাস্ক পরলেও সেটা বেশির ভাগ সময়েই মুখের নীচে নামিয়ে রাখছেন। তার ফলে পরিস্থিতি উত্তরোত্তর বেহাল হয়ে পড়ছে। আইন যাতে সঠিক ভাবে বলবৎ হয় তার উপর কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে কড়া নজর রাখতে হবে। রাজ্যগুলির উপর কড়া নজর রাখতে হবে কেন্দ্রকে।’’ এ ব্যাপারে কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিল, আগামী মঙ্গলবার তার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে।
আরও পড়ুন: যাত্রিবাহী সব বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
আরও পড়ুন: সপ্তম পর্বের আনলকে নয়া করোনা নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এ দিন শীর্ষ আদালতে জানানো হয়, দেশে কোভিড রোগীদের ৭৭ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১০টি রাজ্যের বাসিন্দা। ওই রাজ্যগুলিতেই সংক্রমণের ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। অন্য রাজ্যগুলির অন্যতম মহারাষ্ট্র, কেরল, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক ও ছত্তীসগঢ়। জানানো হয় কোভিডে মৃতদের প্রায় ৮৪ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১০টি রাজ্যের বাসিন্দা। এও জানানো হয়, উৎসবের মরসুম কেটে যাওয়ার পর যে সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ উঠেছে তা আরও ভয়াবহ।
গুজরাতের রাজকোটে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি করোনা হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে গুজরাত সরকারকে রিপোর্ট দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিন ধার্য করা হয়েছে। কেন বিবাহ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে গুজরাতে করোনাবিধি ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে, সে ব্যাপারেও রাজ্য সরকারের কৈফিয়ত চেয়েছে শীর্ষ আদালত।