প্রতীকী ছবি।
হায়দরাবাদ, অসম, ত্রিপুরা, মহারাষ্ট্রের পর এ বার মধ্যপ্রদেশ। গুজবের জেরে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মারা হল মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে। শনিবার সিঙ্গরাউলি জেলার মোরওয়ার ঘটনা।
আগের ঘটনাগুলোর মতো ঠিক একই রকম ভাবে মোরওয়াতে বেশ কয়েক দিন ধরেই হোয়াটসঅ্যাপে ‘ছেলেধরা’ নিয়ে ভুয়ো বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গোটা এলাকায় একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে স্থানীয় বাসিন্দারা ছেলেধরা সন্দেহে নানা রকম প্রশ্ন করতে থাকে। কিন্তু ওই মহিলা ঠিকমতো উত্তর দিতে পারছিলেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে অনেকেই। তার পরই শুরু হয় বেধড়ক মার। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পেটানো হয়েছিল ওই মহিলাকে বলেও দাবি ওই প্রত্যক্ষদর্শীদের। রবিবার সন্ধ্যায় মোরওয়া থেকে কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলের মধ্যে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। শরীরের আঘাত দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশেরও সন্দেহ, পিটিয়েই মারা হয়েছে মহিলাকে।
আরও পড়ুন: অলওয়ারের আক্রান্তকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে চা-ও খেল পুলিশ!
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এমন নয় যে ওই এলাকায় মহিলাকে নতুন দেখা গিয়েছে। গত ছ’মাস ধরেই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন তিনি। মানসিক ভারসাম্যহীন এটা জেনেও কেনই বা মহিলাকে পিটিয়ে মারা হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর পিছনে অন্য কোনও অভিসন্ধি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সিঙ্গরাউলির পুলিশ সুপার রিয়াজ ইকবাল বলেন, “গুজবের জেরেই এই খুন। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে হচ্ছে ছেলেধরা সন্দেহে ওই মহিলাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই মোরওয়াতেই গত ২৯ জুন বন দফতরের এক মহিলা ও পুরুষ কর্মীকে ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মারধর করে গ্রামবাসীরা। তবে পুলিশ সময়মতো খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ছক বদল জঙ্গিদের