Menstruating Women

‘ঋতুচক্রে রাঁধলে মহিলারা পরজন্মে কুকুর!’

উল্লেখ্য, এই ধর্মগুরু যে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত, তারা ভুজে একটি কলেজ চালায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:১৬
Share:

ধর্মগুরু।

‘ঋতুকালীন অবস্থায় যে সব মহিলা স্বামীর জন্য রান্না করেন, তাঁরা পরজন্মে কুকুর হয়ে জন্মাবেন!’ এখানেই শেষ নয়। গুজরাতের ভুজের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের স্বামীনারায়ণ গোষ্ঠীর ‘নর-নারায়ণ দেবগড়ী’ স্বামী কৃষ্ণরূপ দাসজী আরও নিদান দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘ধর্মগ্রন্থেই রয়েছে, ঋতুচক্রের সময়ে স্ত্রীর রান্না খাবেন যে স্বামী, তিনি পরজন্মে ষাঁড় হবেন।’’ বিতর্কিত এই মন্তব্যের জন্য স্বামী কৃষ্ণরূপ দাসজীকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বিভিন্ন স্তরে।

Advertisement

উল্লেখ্য, এই ধর্মগুরু যে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত, তারা ভুজে একটি কলেজ চালায়। কিছু দিন আগে সেই কলেজেরই অধ্যক্ষ এবং মহিলাকর্মীরা ৬০ জন মেয়েকে জোর করে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁরা দেখতে চেয়েছিলেন, ওই মেয়েদের তখন ঋতুস্রাব চলছে কি না। কারণ ওই কলেজের হোস্টেলের ‘নিয়ম’ রয়েছে, ঋতুস্রাব চললে সেই মেয়েরা সবার সঙ্গে বসে খেতে পারবে না! ১১ ফেব্রুয়ারির এই ঘটনায় গত কাল ওই কলেজ অর্থাৎ শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ, রেক্টর এবং পিওনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর পরেই প্রকাশ্যে এসেছে স্বামী কৃষ্ণরূপ দাসজীর নিদান। এক ভিডিয়োয় গুজরাতিতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে ওই সব মন্তব্য। সেটি ভাইরালও হয়েছে। বিশদে বলতে গিয়ে ওই গুরু আবার দাবি করেছেন, ‘‘আমার মতামত আপনাদের পছন্দ না হলে আমার কিছু এসে যায় না। এ সব আমাদের শাস্ত্রেই লেখা রয়েছে।’’

Advertisement

ঋতুমতীদের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণ নিয়েও আপত্তি রয়েছে স্বামী কৃষ্ণরূপ দাসজীর। তাঁর কথায়, ‘‘মহিলারা বোঝেন না, ঋতুস্রাব চলার সময়টা তপস্যা করার মতো। এ-ও শাস্ত্রে লেখা। আমারও এ সব বলতে ভাল লাগছে না। কিন্তু আমায় সতর্ক করতেই হবে। পুরুষদের উচিত রাঁধতে শেখা, এতে আপনাদের ভাল হবে।’’ কবে, কোথায় ধর্মগুরু এই সব মন্তব্য করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। মন্দিরের জন্য তৈরি ইউটিউবের একটি চ্যানেলে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement