ভাল উপার্জনের রাস্তা মানেই ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক কিংবা বড় কোনও সরকারি আমলা। এই ধারণার বদল ঘটেছে ইদানীং। উপার্জনের নানা উৎস উঠে এসেছে মধ্যবিত্তের নাগালেও। বিশেষ করে করোনাকালে ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে উপার্জনের নানা রাস্তা বার করে ফেলেছেন অনেকেই।
সংখ্যা বেড়েছে ইউটিউবারের। এমনই এক জন ইউটিউবার সন্দীপ মহেশ্বরী। শুধু ইউটিউবার বললে তাঁর জনপ্রিয়তা বোঝানো সম্ভব নয়। তিনি এখন একজন ‘ব্র্যান্ড’।
যদিও অতিমারির প্রকোপের অনেক আগে থেকেই ইউটিউব ভিডিয়ো বানাতেন তিনি। মূলত প্রেরণামূলক অনলাইন বক্তৃতা করেন তিনি। করোনাকালে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেওয়াও শুরু করেন।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সন্দীপের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পিছনেও রয়েছে অনেক কাহিনি। ইউটিউবার হওয়ার যাত্রা শুরু করার আগে বিভিন্ন পেশায় ছিলেন তিনি।
২০০০ সালে তিনি প্রথম উপার্জন করতে শুরু করেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। ইমেজবাজার ডট কম নামে এক স্টক ফটো সংস্থার সিইও তিনি।
ছবি তোলার ক্ষেত্রেও বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তবে আদতে ফোটোগ্রাফার হলেও বিনামূল্যে সাধারণ মানুষকে সাফল্য অর্জনের পথ দেখানো ও পরামর্শ দেওয়ার কাজের জন্যই বেশি খ্যাতি সন্দীপের।
সন্দীপ কলেজ জীবনে লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি। এখন ভারতের সেরা তিন প্রেরণামূলক বক্তার মধ্যে রয়েছেন। ইউটিউবার হিসেবে পেয়েছেন অনেক সম্মান।
‘ওয়ান অব ইন্ডিয়া’স মোস্ট প্রমিশিং অন্তেপ্রেনর্স’, ‘পাওনিয়ার অব টুমরো’, ‘ক্রিয়েটিভ অন্তেপ্রেনর অব দ্য ইয়ার ২০১৩’- তারই কয়েকটি।
কী করে ভাল থাকবেন, কী করে সফল হবেন— তার পরামর্শ দেওয়াই পেশা সন্দীপের। নেটমাধ্যমে তাঁর ভিডিয়ো মানেই লাইক, কমেন্টের ছড়াছড়ি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে ভিউস। তাঁর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ।
সম্প্রতি এমনই এক ভিডিয়োর দৌলতেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। নিজেই সে কথা ফেসবুকে জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘এই খবর জানাতে পেরে আমি খুব খুশি যে আমার লাইফ চেঞ্জিং সেমিনার ভিডিয়োর দর্শক সংখ্যায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ জায়গা পেয়েছে।’
এই কৃতিত্বের জন্য তিনি যে শংসাপত্র পেয়েছেন, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ভিডিয়োটি মোট তিন কোটি সাত লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৫ বার দেখা হয়েছে।
শুধুমাত্র ইউটিউব থেকে সন্দীপ কত আয় করেন? ইউটিউবের জন্য ভিডিয়ো বানিয়ে সন্দীপের আয় বছরে অন্তত তিন কোটি টাকা।