ইতিহাস রচনা করতে চলেছেন বিহারের মেয়ে শিবাঙ্গি। আগামী ২ ডিসেম্বর ককপিটে বসতে চলেছেন দেশের এই প্রথম মহিলা নেভি পাইলট।
বিহারের মুজফফরপুরে জন্ম শিবাঙ্গির। পুরো নাম শিবাঙ্গি স্বরূপ। ৪ ডিসেম্বর নৌ দিবস। তার ঠিক দু’দিন আগে ভারতের প্রথম মহিলা নেভি পাইলট হিসাবে কাজ শুরু করবেন তিনি।
বর্তমানে কোচিতে তাঁর প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণ শেষ হলেই তিনি কাজে যোগ দেবেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে তাঁকে কমিশন করেছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল একে চাওলা।
হঠাত্ নেভি পাইলট হিসাবে যোগ কেন? শিবাঙ্গি জানিয়েছেন, এই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর বাবা। তাঁর বাবার নাম জ্ঞান স্বরূপ। তিনিও একজন নৌ অফিসার। এখনও কর্মরত তিনি। বাবা-ই তাঁর নৌবাহিনীতে আসার অনুপ্রেরণা।
তাঁর বাবা জ্ঞান স্বরূপ একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, বায়োটেকনোজলজি নিয়ে পড়াশোনার পর শিবাঙ্গি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। তারপরই তিনি মেয়েকে কেরলে নৌসেনার অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেন।
ছোটবেলাটা বিহারের মুজফফরপুরেই কেটেছে শিবাঙ্গির। মুজাফফরপুরের ডিএভি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারপর ভেল্লোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন।
বায়োটেকনোলজি পাশ করার পরই তিনি কেরলের কান্নুরের ইন্ডিয়ান নেভাল অ্যাকাডেমি থেকে স্নাতক হন।
এর বাইরেও তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে। ভারতের প্রথম নেভি পাইলট তাইকোন্ডো চ্যাম্পিয়নও। জাতীয় তাইকোন্ডা চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন তিনি। শিবাঙ্গি ডুব সাঁতারেও দারুণ পারদর্শী।
শিবাঙ্গির মা-ও ভারতীয় নৌ সেনার সঙ্গেই যুক্ত। মা কল্পনা স্বরূপ বিশাখাপত্তনমে নেভি চিল্ড্রেন স্কুলের শিক্ষিকা।
ইতিহাস গড়েছে মেয়ে। বাড়ির সকলেই দারুণ খুশি এবং গর্বিত। এত খুশির মধ্যে শিবাঙ্গি অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, “এটা শুধু বড় সুযোগই নয়, অনেক বড় একটা দায়িত্ব। তাই শুধু খুশিতে ভেসে গেলেই হবে না।’
নৌবাহিনীতে এতদিন মহিলারা এভিয়েশন শাখায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অফিসার এবং এয়ারক্র্যাফ্টের অবজারভার হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। এই প্রথম কেউ বিমানের ককপিটে বসতে চলেছেন।